ঠিকানা অনলাইন : আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার আইনি লড়াইয়ে সহায়তা করতে ওআইসিকে ৫ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ।
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থায় (ওআইসি) বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘গাম্বিয়াকে আইনি লড়াইয়ে সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা ইতিমধ্যে ওআইসির তহবিলে এ অর্থ প্রদান করেছি।’
নাইজারে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলে (সিএফএম) ঢাকার প্রতিনিধি দলে নেতৃত্বদানকারী পাটোয়ারী বাসসকে বলেন, ওআইসির জেনারেল সেক্রেটারিয়েট এখন আইসিজেতে গাম্বিয়ার লড়াইয়ে সহায়তার জন্য একটি বিশেষ হিসাব খুলেছে। আর পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিও তহবিলের জরুরি প্রয়োজনের ইঙ্গিত দিয়েছে।
গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী দাউদা এ জালো সিএফএম-এ রোহিঙ্গা মামলার সর্বশেষ আপডেট উপস্থাপন করতে গিয়ে বলেন, এ আইনি মামলার জন্য আমি ওআইসির সদস্যদেশগুলোর কাছে জরুরি, স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ও গুরুত্বপূর্ণ অবদানের আহ্বান জানাচ্ছি। সিএফএম-এ রোহিঙ্গা সংকট মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে উঠে আসে।তিনি বলেন, মামলাটি চালাতে বিশেষ করে আইনজীবীদের অর্থ প্রদানের জন্য গাম্বিয়ার প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দরকার। এই মামলার বাদীপক্ষে দাঁড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি নামী আইন সংস্থাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গাম্বিয়ার মন্ত্রী বলেন, এই মামলাটির লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকটের একটি চূড়ান্ত ও স্থায়ী সমাধান।
ওআইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকা ছাড়াও ওআইসির ৫৭ সদস্যের মধ্যে সৌদি আরব, তুরস্ক ও নাইজেরিয়া এ পর্যন্ত এই মামলায় গাম্বিয়াকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ এই রোহিঙ্গা সংকটের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায়ের জন্য একক বৃহত্তম আবাসস্থলে পরিণত করেছে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এক নির্মম সামরিক অভিযান শুরু করার পর রাখাইন রাজ্যের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা তাদের জন্মভূমি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়, যাদের বেশির ভাগ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নেয়।
গাম্বিয়া গত বছরের নভেম্বর মাসে ওআইসি, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সহায়তায় আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে। ১০-১২ ডিসেম্বর আইসিজে তার প্রথম শুনানি করে।
ঠিকানা/এনআই