কক্সবাজার : রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়টি দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যতই বিলম্বিত হচ্ছে ততই আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অভ্যন্তরে থাকা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো সক্রিয় হচ্ছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থাকাকালে এদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিদ্রোহী গ্রুপের জন্ম হয়েছে। বিভিন্ন নামে এ সংগঠনগুলোর মধ্যে সর্বশেষ নামটি এসেছে সেটি হচ্ছে আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি)।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর রাতে রাখাইনে সশস্ত্র সেনা অভিযানের পর যে লাখ লাখ রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় নিয়েছে তাদের সঙ্গে এসব বিদ্রোহী সংগঠনের অনেকে প্রাণে বাঁচতে চলে এসেছে। কেউ কেউ সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্রও নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বরতার মুখে ওরা টিকতে পারেনি। এখন প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার সুবাদে এসব বিদ্রোহী সংগঠনের সদস্যদের গোপন তৎপরতা বাড়তে শুরু করেছে। যে কারণে আশ্রিত শিবিরগুলোতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সহিংসা ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, উখিয়া-টেকনাফের ৩০ শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মাঝে গ্রুপিংও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, বর্তমানে এরা দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি আল ইয়াকিন গ্রুপ ও অপরটি তাদের বিরুদ্ধাচরণকারী সাধারণ রোহিঙ্গা। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ওই সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এসব সন্ত্রাসীরা সাধারণ রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে রাখার প্রক্রিয়ায় ব্যাপক তৎপর। বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের এক প্রকারে জিম্মি করে রেখেছে তারা। তাদের কথা মতো না চললে চলে নির্যাতনের খড়গ। গত ৬ সেপ্টেম্বরও টেকনাফের হোয়াইক্যং চাকমারকুল ক্যাম্পে তিন রোহিঙ্গাকে কুপিয়েছে সন্ত্রাসী প্রতিপক্ষ। তাদেরকে রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সশস্ত্র রোহিঙ্গারা তাদের আধিপত্য বিস্তারে সাধারণ রোহিঙ্গাদের হুমকির মুখে রেখেছে। তারা রাতের বেলায় ক্যাম্পে অস্ত্র উঁচিয়ে বিভিন্ন ব্লক ও শেডে ঘোরাফেরা করে থাকে। আরাকান বিদ্রোহী গ্রুপের ওই ক্যাডারদের কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গিবাদ বিস্তৃতির আশঙ্কা করছেন অনেকে। সূত্র আরও জানিয়েছে, এ পারের বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে থাকা আরাকান বিদ্রোহী গ্রুপের ক্যাডারদের কারণে ক্যাম্পে আশ্রিত সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আরএসও’র (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন) সাবেক কিছু ক্যাডার বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে তাদের। পুরনো রোহিঙ্গা নেতাদের উদ্দেশ হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের সহসা ফেরত যাওয়ার প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। পুরনো রোহিঙ্গা নেতাদের কেউ কেউ বিদেশি অর্থ এনে লাভবান হচ্ছে, আবার কেউ কেউ বিদেশী অর্থে বিভিন্ন এনজিওর ছদ্মাবরণে রোহিঙ্গা সেবার নামে বিভিন্ন স্থাপনা ও ত্রাণ বিতরণের ব্যানারে নিজ স্বার্থ হাসিল করে চলেছে। ক্যাম্পে অবস্থানকারী সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের (আরএনও) ক্যাডাররা আর্থিক সহযোগিতা দেয়া ছাড়াও তাদের অস্ত্রের জোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি কমেছে কক্সবাজারবাসীর : ব্র্যাকের গবেষণা
কক্সবাজার : মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বিতাড়নের পর রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। মানবতার খাতিরে কক্সবাজারবাসী তাদের সাদরে গ্রহণ করে। ওই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানায় কক্সবাজারের ৭২ শতাংশ জনগোষ্ঠী এবং দেশের ৬৬ শতাংশ মানুষ। কিন্তু মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের মধ্যে ৩০ আর অন্যদের মধ্যে এ অনুভূতি ৫৫ শতাংশে নেমে এসেছে। সবাই এখন চাচ্ছে শরণার্থীরা নিজ দেশে ফিরে যাক। গত বছর ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের এপ্রিলে পরিচালিত বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের দুটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে।
রোহিঙ্গা সংকটের বছরপূর্তিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ব্র্যাকের কার্যক্রম ও করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সেখানেই তুলে ধরা হয় পরিসংখ্যানটি। এ সময় ‘স্পেস অন আর্থ’ শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক প্রচার কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয় ব্র্যাক। অনুষ্ঠানে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক আকরামুল ইসলাম, টেকনোলজি অ্যান্ড পার্টনারশিপ বিভাগের পরিচালক কে এ এম মোর্শেদ, কমিউনিকেশন অ্যান্ড আউটরিচ বিভাগের পরিচালক মৌটুসী কবির বক্তব্য দেন।
ব্র্যাক বলছে, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও জরুরি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে অর্থের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এ বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্র্যাকের প্রয়োজন ছিল ৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, কিন্তু সংস্থান হয়েছে মাত্র ২ কোটি ৪২ লাখ। অর্থ ঘাটতির কারণে বিভিন্ন কাজে বেগ পেতে হচ্ছে জানিয়ে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা ৫০টি হেলথ সেন্টার করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করলেও করতে পেরেছি ৩০টি। আর ১১টি ক্লিনিক চালাতে যে খরচ হয়, তার জন্য সমস্যা মোকাবেলা করছি। আমরা নিজস্ব তহবিল থেকেও টাকা দেওয়া শুরু করেছি। আমরা তো কাজটি বন্ধও করে দিতে পারছি না।’
রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বিষয়। মিয়ানমারের রাখাইনে তাদের ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতিও তো সৃষ্টি হতে হবে। নিরাপদ আবাসস্থল, সম্মানজনক অবস্থানের নিশ্চয়তা পেলে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায়ই যাবে। আর সেই পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে মিয়ানমারকেই। নিরাপত্তায় রাখাইনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন, নাগরিকত্ব, ক্ষতিপূরণ এবং বিচারের চারটি স্পষ্ট শর্ত দিয়েছে রোহিঙ্গারাও। সেসব পূরণ হলেই তারা ফিরতে চায়।’ ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে মুসা বলেন, ‘আমরা এখনো সন্দিহান, ভাসানচরের কোথায় কী হবে। তাদের সেখানে নেওয়ার আগে ব্যবস্থাটা করা জরুরি। এখন সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ব্র্যাকের প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে প্রস্তুতির কাজ করবে।’ কে এ এম মোর্শেদ এ বিষয়ে বলেন, ‘ভাসানচরে যদি আমরা এক লাখ রোহিঙ্গাকেও নিয়ে যাই, বাকি ৯-১০ লাখ তো কক্সবাজারেই থাকছে। তাই ভাসানচরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে এখানকার বিষয়ও দেখতে হবে।’
মুখোশপরা অস্ত্র হাতে ওরা কারা?
কক্সবাজার : উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বেআইনি অস্ত্র ও মুখোশধারীদের তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে এরা কারা? প্রায় প্রতিরাতেই বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে এরা বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কোনো অবস্থাতেই মিয়ানমারে প্রত্যাবাসিত না হওয়ার জন্য রীতিমতো হুমকি-ধমকি প্রদান করছে। কোনো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসিত হতে চাইলে তাদেরকে হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এমনিতেই কিছু দিন আগে থেকেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিরোধিতার অপতৎপরতা লক্ষণীয়ভাবে দৃশ্যমান। গত ৪ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলীর পক্ষে ঘোষণা দেয়া হয়েছে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন শিগগিরই শুরু হবে। তবে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো দিনক্ষণ প্রকাশ করেননি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর মুখোশ পরিহিত অস্ত্রধারীদের প্রত্যাবাসনবিরোধী তৎপরতা ইতিপূর্বেকার চেয়ে আরও একধাপ বেড়েছে বলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধিত সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। অনুসন্ধান চালানো হলে নিবন্ধিতদের মধ্যে দেড় লাখেরও বেশি ক্যাম্পে পাওয়া যাবে না। এরা প্রতিদিন বিভিন্নভাবে ক্যাম্প ছেড়ে নানা স্থানে যাওয়া আসা করছে। কেউ কেউ স্থায়ীভাবে অন্যত্র অবস্থান নিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উখিয়া টেকনাফের ৩০ রোহিঙ্গা শিবিরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যে তৎপরতা তা সকাল থেকে প্রতিদিন বিকেল পর্যন্ত। সন্ধ্যার পর ক্যাম্প অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো অবস্থান থাকে না। ঠিক এই সময়ের পর রাত অবধি কালো প্যান্ট ও টি-শার্ট পরিহিত এবং অস্ত্রসজ্জিত বিভিন্ন ব্যক্তির তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্যাম্প অভ্যন্তরে পৃথক পৃথকভাবে থাকা পরিবারের সদস্যদের কাছে গিয়ে এরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে এই বলে যে, রোহিঙ্গাদের কেউ মিয়ানমারে ফিরে যাবে না। যাওয়ার চেষ্টা করলে মেরে ফেলা হবে। এ ঘটনার পর থেকে যেসব রোহিঙ্গার মনে প্রত্যাবাসনের অভিপ্রায় ছিল তাও যেন উবে যাচ্ছে। এমনিতেই রোহিঙ্গাদের বড় একটি অংশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসিত হতে অনিচ্ছুক। এর প্রধান কারণ জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে চরম অনিশ্চয়তা। এ ছাড়া ফেলে আসা বাড়ি ঘরের অস্তিত্ব যেমন নেই, তেমনি জায়গা জমিও বেদখল হয়ে গড়ে উঠেছে নানা স্থাপনা। সুতরাং সে দেশে গেলেও তাদেরকে ক্যাম্পেই থাকতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে সেনাসদস্যদের কঠোর প্রহরায়।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের পক্ষে না গিয়ে নেতিবাচক মনোভাবে এগোচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেসব রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছে এরা নিয়মিত এক দিকে ত্রাণসামগ্রী যেমন পাচ্ছে, তেমনি এদের অনেকে কক্সবাজার শহরসহ সন্নিহিত এলাকাগুলোতে আয় রোজগারের বিভিন্ন খাতে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। কক্সবাজারের হোটেল, চা দোকান, বাসা বাড়ি, যানবাহনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমের কাজেও এদের সংখ্যা বহু। প্রশ্ন উঠেছে, নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা কিভাবে ক্যাম্পের বাইরে আসছে। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন-পুরনো মিলিয়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গার গতিবিধি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ এখনও একটি অসম্ভব ব্যাপারে পরিণত হয়ে আছে। ফলে বিভিন্ন ফাঁকফোঁকরে ক্যাম্পের বাইরে চলে আসার সুযোগ নিচ্ছে। আবার অনেকে চিকিৎসক ও এনজিও সংস্থার কাছ থেকে চিকিৎসার একটি কাগজ সংগ্রহ করে প্রকাশ্যে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখিয়ে কক্সবাজার শহরমুখী হচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করে কেউ কেউ আবার ফিরে যাচ্ছে। আবার অনেকে অন্যত্র স্থায়ী অবস্থান গেড়ে নিচ্ছে। নিবন্ধিত হিসেবে ক্যাম্পে না থাকলেও লিস্টেড পরিবারগুলোর জন্য যে ত্রাণসহায়তা প্রদান করা হয় তা ঠিকই তারা নিয়ে নিচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত। এর পাশাপাশি গণহত্যা ও বর্বরতার বিচারসহ অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে কি হবে বা হতে পারে তা একমাত্র ভবিষ্যতই বলে দেবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কূটনৈতিক তৎপরতায় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে প্রত্যাবাসন শুরু নিয়ে। সে লক্ষ্যেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে একটি ঘোষণাও এসেছে।