রোহিঙ্গা শিবিরে সশস্ত্র গ্রুপ মিয়ানমারের ইন্ধনে!

ঠিকানা ডেস্ক : কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি ক্রমেই হানাহানির দিকে মোড় নিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যেই একের পর এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে উঠছে শিবিরের অভ্যন্তরে। খোদ রোহিঙ্গা নিধনকারী বলে পরিচিত প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সরকারও গোপনে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপ সৃষ্টিতে ইন্ধন দিচ্ছে বলে উদ্বেগজনক খবর এসেছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কাছে। রোহিঙ্গা শিবিরে শুধু রাতে নয়, দিনের বেলায়ও চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানি।

শিবিরগুলোতে পরস্পরবিরোধী দুটি রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এমনকি উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে তিনটি রোহিঙ্গা শিবির এখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের নিয়ে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই শিবিরগুলোর সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খুনাখুনি, অপহরণ, গুম, লুটপাটসহ নানা জঘন্য অপরাধজনক ঘটনা লেগেই রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ রাতেও উখিয়ার কুতুপালং ই-২ শিবিরে রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঠেকিয়ে দিয়েছেন

সেনা সদস্যরা। শিবিরের কয়েকটি মসজিদের মাইকের ঘোষণায় দ্রুত ঘটনাস্থলে সেনা সদস্যরা ছুটে যাওয়ায় বড় ধরনের হামলার ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম গত ১৬ মার্চ বিকেলে বলেন, ‘আকস্মিক বিপুলসংখ্যক হামলাকারী কর্তৃক শিবিরে হানা দেওয়ার খবর পেয়েছিলাম।

ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য রওনা দিতেই জেনেছি, সেখানে আমাদের আগেই সেনা সদস্যরা পৌঁছে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে এনেছেন।’ শিবিরের রোহিঙ্গা শেড মাঝিরা (রোহিঙ্গা দলনেতা) জানান, বর্তমানে শিবিরগুলোতে আল ইয়াকিন নামের একটি সশস্ত্র রোহিঙ্গা গ্রুপ বেশ সক্রিয় রয়েছে। আল ইয়াকিন নামের সংগঠনটির বেশির ভাগ রোহিঙ্গা আগে আরএসও নামক সংগঠনে ছিল। আল ইয়াকিন সংগঠনকে রোহিঙ্গাদের অনেকেই আরসা হিসেবেও বলে থাকে। সংগঠনটিতে রয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা তরুণ ও যুবক।