লিভারের সুরক্ষার খাদ্যতালিকা

ঠিকানা রিপোর্টঃ লিভারকে সুস্থ-সবল ও কর্মক্ষম রাখতে হলে নি¤œবর্ণিত খাবারগুলো নিয়মিত খেতে হবে।
ব্রকলি: ব্রকলিতে রয়েছে আইসোথিয়োসায়ানেট নামক উপাদান যা দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমানো ছাড়াও লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রোগ সংক্রমণের পথেও ব্রকলি বাধা সৃষ্টি করে। তাই সপ্তাহে ৩ দিন ব্রকলি খেলে লিভার সবল-সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকবে।
কাঁচা আম: শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে কাঁচা আম বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে। লিভার এবং গল ব্লাডারের কর্মক্ষমতা বর্ধনেও এটি সহায়তা করে।
জাম্বুরা: প্রত্যহ একটি করে সাইট্রাস বা জাম্বুরা খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ একাধিক পুষ্টিকর উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে লিভারের কার্যকারিতা বজায় থাকা ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হজম ক্ষমতার উন্নতি হয়, রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ওজন হ্রাস পায়। ব্রেকফাস্টে প্রত্যহ এক গ্লাস জাম্বুরার রস পান করলে শরীরে টক্সিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায় এবং রোগমুক্ত জীবন যাপন সহজ হয়।
রসুন: সকালবেলা, খালি পেটে নিয়মিত এক কোয়া হারে রসুন খেলে লিভারের অভ্যন্তরস্থ টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায় এবং লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রসুনের অভ্যন্তরিণ অ্যালিসিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পাতি লেবু: সাইট্রাস গোষ্ঠীভুক্ত পাতি লেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োফ্লেবোনাইডস। এ সকল উপাদান লিভারকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
গাজর: গাজরের অভ্যন্তরে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড় নামের একটি অতি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ফ্রি রেডিকাল বা টক্সিক উপাদানকে দেহের অভ্যন্তরে ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াতে বাধা দেয়। ফলশ্রুতিতে লিভারসহ শরীরের অপরাপর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক থাকে।
বিট: দেহের অভ্যন্তরিণ ক্ষতিকারক কার্সিনোজেন অনেক সময়ই লিভারের ভয়াবহ ক্ষতি করে । ফলে রোগ-ব্যাধিতে লিভার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। বিটের রস এক্ষেত্রে প্রভূত উপকারে আসে। মূলত বিটের অভ্যন্তরিণ বিটালেনস নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, দেহের অন্দরে জমতে থাকা ক্ষতিকর উপাদান তাড়িয়ে দেয় বিধায় লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দূরিভূত হয়।
আপেল: আপেলে বিদ্যমান একাধিক পুষ্টিকর উপাদান লিভারকে কর্মক্ষম রাখতে এবং শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সহায়তা করে। তাই প্রত্যহ একটি করে আপেল খেলে সুস্থ জীবন যাপন সহজ হয়।