রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনজন নিহত হন। আহত হন অন্তত নয়জন।
শুক্রবার (৪ মে) দুপুরে কেরেঙ্গাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) থেকে বেরিয়ে গঠন করা ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দলের আহ্বায়ক তপনজ্যোতি চাকমা বর্মা। নিহত বাকি দুজন হলেন সজীব চাকমা ও সেতুলাল চাকমা।
এর একদিন আগেই নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এদিকে, গুলিতে নিহত রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গাড়িবহরে দুর্বৃত্তদের হামলায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ জন। খাগাড়াছড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ দুজনের মৃত্যু হয়। আহত রয়েছেন আরও ৭ জন।
এর আগে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাঙ্গামাটির এসপি মো. আলমগীর কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গুলিতে নিহতরা হলেন- ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা, যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য তনয় চাকমা ও মহালছড়ি যুব সমিতির সভাপতি সুজন চাকমা। এছাড়া খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে মারা গেছেন সজীব চাকমা ও সেতুলাল চাকমা।
তপন জ্যোতি চাকমা বর্মার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা লিটন চাকমা। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করে বলেন, শক্তিমান চাকমাকে হত্যার পর তপনজ্যোতি চাকমা বর্মাকে হত্যার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে একক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য ইউপিডিএফ একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।