শান্তর ব্যাটে চট্টগ্রামকে হারিয়ে শীর্ষে ফিরল সিলেট

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। করলেন ঝোড়ো ফিফটি। পরে মুশফিকুর রহিম ও রায়ান বুর্লও ঝড় তুললেন। সুবাদে মেহেদী মারুফ ও শুভাগত হোমের ফিফটিকে ম্লান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারাল সিলেট স্ট্রাইকার্স।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৮ জানুয়ারি শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।

আগের দিন রংপুর রাইডার্সের কাছে হেরেছিল সিলেট। পরে ফরচুন বরিশাল নিজেদের ম্যাচে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যায়। এই জয়ে সিলেট ফের শীর্ষে ফিরল।

৯ ম্যাচে ৭ জয় ও ২ হারে ১৪ পয়েন্ট সিলেটের। এক ম্যাচ কম খেলা বরিশাল ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রামের অবস্থান সাত দলের মধ্যে ষষ্ঠ।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় উদ্বোধনী জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন। তৌহিদ হৃদয় ১৮ বলে ১৫ রান করে ফিরলে মুশফিকের সঙ্গে ২৮ বলে ৪৭ রান যোগ করেন শান্ত। যেখানে মুশফিকের অবদানই বেশি। পরে ঝড় তুলেছিলেন জিম্বাবুয়ের রায়ান বুর্ল।

শান্ত ৪৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন। এ নিয়ে তৃতীয় ফিফটি পেলেন তিনি। এদিনের ইনিংসে শান্ত উঠে গেছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে।

মুশফিক ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে যান। বুর্ল ১৬ বলে ৪১ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। ইনিংসের প্রথম বলেই উসমান খানকে তুলে নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটিং নেওয়াটা ভুলই মনে হচ্ছিল তখন।

তবে আফিফ হোসেনকে নিয়ে সেই ধাক্কা দারুণভাবে সামাল দেন মেহেদী মারুফ। তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে তুলে নেন আসরে নিজের প্রথম ফিফটি। পরে ঝড় তোলেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৪ রানের পুঁজি গড়ে চট্টগ্রাম।

২৯ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন শুভাগত। ৩টি করে ছক্কা ও চার হাঁকান তিনি। মেহেদী মারুফ ৪০ বলে ৫২ রান করেন ৭ চার ও ২ ছক্কায়। আফিফ ২৭ বলে ৩৪ রান করেন ৫ চারে। শুভাগতকে সপ্তম উইকেটে ভালো সঙ্গ দেওয়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ১২ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে শুভাগত অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ২৯ বলে ৪৭ রান যোগ করেন। এর আগে ষষ্ঠ উইকেটে ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে যোগ করেন ১৩ বলে ৩০ রান। মেহেদী মারুফ ও আফিফ হোসেন দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ বলে ৮৮ রানের জুটি উপহার দেন। সিলেটের পক্ষে সর্বাধিক ২ উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম। ম্যাচসেরা হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

ঠিকানা/এনআই