শান্তি চাইলে তাইওয়ানকে যেকোনো ধরনের স্বাধীনতা প্রচেষ্টা ত্যাগ করতে হবে: বেইজিং

ঠিকানা অনলাইন : তাইওয়ান ঘিরে তিন দিনব্যাপী সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। তাইওয়ানের স্বাধীনতার যেকোনো প্রচেষ্টা রুখে দিতে সেনারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে চীনের সেনাবাহিনী। পাশাপাশি তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চাইলে তাইওয়ানের যেকোনো ধরনের স্বাধীনতা প্রচেষ্টা ত্যাগ করতে হবে স্পষ্ট জানিয়েছে বেইজিং।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের তিন দিনব্যাপী সামরিক মহড়া শেষ হয়েছে। ১০ এপ্রিল (সোমবার) এক বিবৃতিতে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর দাবি করেছে, মহড়াটি সফল হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশটির বিভিন্ন বাহিনীর সক্ষমতা যাচাই করতেই এই মহড়া চালানো হয়েছে।

এদিকে সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা যদি তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই তাইওয়ানের স্বাধীনতা বিচ্ছিন্নতাবাদের যেকোনো ধরনের বিরোধিতা করতে হবে।’

অন্য দিকে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এক বিবৃতিতে বলছে, ‘সেনারা সবসময় লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। বিচ্ছিন্নতাবাদ বা বিদেশি হস্তক্ষেপ যেভাবেই তাইওয়ানের স্বাধীনতার চেষ্টা করা হোক না কেন, তা যেকোনো সময় রুখে দেয়া হবে।’

শেষ দিন তাইওয়ান ঘিরে চীনের ৫৯টি সামরিক উড়োজাহাজ, ১১টি যুদ্ধজাহাজ ও শানডং রণতরী মহড়া চালিয়েছে বলে দাবি করেছে তাইপে। যুদ্ধবিমান থেকে গুলি ছোঁড়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

সোমবার চীনের সামরিক মহড়ার শেষ দিন দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করেছে। এক বিবৃতিতে ইডেন প্রশাসন জানায়, ‘মুক্তভাবে চলাচলের স্বাধীনতা’ নামের এক অভিযানের আওতায় জাহাজটি দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে। মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতিকে ‘অবৈধ’ বলে আখ্যা দিয়েছে বেইজিং।

চীনের কঠোর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। এরপরই গত শনিবার থেকে এই সামরিক মহড়া শুরু করে চীন। তিন দিনের এ মহড়ার নাম দেয়া হয় ‘জয়েন্ট সোর্ড’ বা ‘যৌথ তরবারি’।

তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দাবি করে চীন। দ্বীপটিকে নিয়ন্ত্রণে নিতে বহুদিন ধরে চেষ্টা করছে বেইজিং। তবে নিজেদের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে তাইওয়ান।

ঠিকানা/এসআর