ঠিকানা অনলাইন : ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। এ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শিক্ষার্থীসহ ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী আছেন ২০-২৫ জন। তাদের মধ্যে ৮-৯ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৬ জুন শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। সন্ধ্যা ছয়টার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেলে কয়েকজন বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। বাধা দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা নিরাপত্তারক্ষীর গায়ে হাত তোলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে আসেন। তাদের সঙ্গেও বহিরাগতদের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জেরে ক্যাম্পাস এলাকায় জড়ো হতে থাকেন আখালিয়া এলাকার লোকজন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় ঘণ্টাখানেকের বেশি পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় পাশের বেশ কিছু দোকান ও যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে রয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এর সমাধান করা হবে।’
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম রুকন জানান, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।
ঠিকানা/এনআই