শিক্ষিকা নাজমা খানমের খুনি গালভেজ দোষী সাব্যস্ত

যাবজ্জীবনের সম্ভাবনা

ঠিকানা রিপোর্ট: বাংলাদেশী স্কুল শিক্ষিকা নাজমা খানমের খুনি ইয়নাথন গালভেজ ম্যারান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কুইন্স সুপ্রীম কোর্টে গত এক সপ্তাহ শানানী শেষে জুরি বোর্ড গত ২৬ অক্টোবর তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়ার সুপারিশ করে। মামনীয় বিচারক আলিসি আগামী ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে এই মামলায় রায় ঘোষণা করবেন।
উল্লেখ্য, নাজমা খানম ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট রাত ৯টা ১৫ মিনিটের সময় জ্যামাইকার হিলসাইড থেকে নরমেল রোড দিয়ে তার স্বামী শামসুল আলম খানসহ বাসায় ফিরছিলেন। এক পর্যায়ে শারীরিক অসুস্থতার জন্য নাজমা খানম তার স্বামীকে বলেছিলেন- তুমি হাঁট, আমি আসছি। এই কথা বলেই তিনি বসে পড়েন।
এর কিছুক্ষণ পরেই শামসুল আলম খান তার স্ত্রীর চিৎকার শুনতে পান। এবং তিনি দৌড়ে গিয়ে দেখতে পান যে তার স্ত্রী দাঁড়িয়ে আছেন, তার ঠোট কাঁপছে। স্বামী শামসুল আলম খান বলতে থাকেন কী হয়েছে তোমার, আমাকে বল। স্বামীকে দেখেই নাজমা খানম বলতে থাকেন ও আমাকে বাঁচতে দিলো না। তখন শাসমুল আলম বুঝতে পারেননি দুর্বৃত্ত ইয়াথন গালভেজ তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করেছে। তিনি মনে করেছিলেন, হয়ত তার স্ত্রী ভয় পেয়েছে। কারণ এই পথ দিয়েই তারা হেঁটে বাসায় যেতেন। সব সময় নাজমা খানম তার স্বামীকে বলতেন এই জায়গায় তার ভয় লাগতো (১৬০-১২ নরম্যান রোড়)। আবার মনে করেছিলো তার স্ত্রীর হার্ট এ্যাটাক হয়েছে। এরইমধ্যে নাজমা খানম তার স্বামীর হাত ধরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় শামসুল আলম চিৎকার করলে লোকজন ছুটে আসে। তিনি তার ফোন খুঁজে পাচ্ছিলেন না। একটি লোক তার ফোন দিয়েই পুলিশ কল করে। পুলিশ আসার পূর্বেই স্বামী শামসুল আলম খান যখন তার স্ত্রীর পিঠে হাত দেন, তখন দেখতে পান তা ভিজা। বের করে দেখতে পান রক্তাক্ত। পুলিশ এলে রক্তাক্ত নাজমা খানমকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেয়া হয় এবং কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় দুর্বৃত্ত ইয়নাথন গালভেজ (২৫) নামজা খনমকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। যে কারণে নাজমা খানমের মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, ইয়নাথন গালভেজও ঐ এলাকায় থাকতো। ভিডিও দেখেই পুলিশ তাকে সানক্ত করেন এবং গ্রেফতার করেন।