ঠিকানা রিপোর্ট : নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটের নাম ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ ঘোষণা আসছে শিগগিরই। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে।
নির্বাচিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিউইয়র্ক সিটির কাউন্সিল মেম্বার (ডিস্ট্রিক্ট-২৫)
শেখর কৃষ্ণান জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটের নাম ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ করার ঘোষণা দেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদের আমন্ত্রণে জ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টার পরিদর্শনকালে তিনি এই ঘোষণা দেন। তিনি বাংলাদেশি ও এশিয়ার মুসলিম সমাজের জন্য আন্তরিক পদক্ষেপের কথা দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন। সেসময় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আব্দুস সাদেক, মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জুম্মার নামাজের মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃষ্ণান প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিগিগরিই আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ ঘোষণার কথা জানান এবং সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সকল ধরনের বৈরীতা ও বৈষম্য নিরসন এবং সন্ত্রাস দমনে নেয়া পদক্ষেপের কথাও জানান। তিনি সরকারি স্কুলে হালাল খাবার সরবরাহ এবং কোভিড ১৯ থেকে সুরক্ষায় বিভিন্ন নিরাপত্তা উপকরণ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন।
ফজরের নামাজের সময়ে রুজভেল্ট অ্যাভিনিউ এবং ৬৯ স্ট্রিট থেকে ৭৩ স্ট্রিট পর্যন্ত এলাকায় আক্রমণ ও হামলা বন্ধ করতে পুলিশী নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানানো হয় কাউন্সিল মেম্বারের কাছে। তিনি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক শহরে দুটি এলাকায় লিটল বাংলাদেশ এভিনিউ নামকরণের পর এবার ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামে একটি রাস্তার নামকরণের প্রস্তাব উঠেছে। জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র ৭৩ স্ট্রিটটি ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামকরণের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। গত ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সিটি কাউন্সিল মেম্বার (ডিস্ট্রিক্ট-২৫) শেখর কৃষ্ণান সিটি কাউন্সিলের কমিটি অন পার্কসের শুনানিতে এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।
কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃষ্ণান বলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতি গভীর সম্মান প্রদর্শন করে ৭৩ স্ট্রিটের নামকরণ ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ করার মধ্য দিয়ে জ্যাকসন হাইটসের উন্নয়নে বাংলাদেশিদের বিশাল অবদানের স্বীকৃতি জানাতে চাই। শেখর কৃষ্ণানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার কার্যালয়ের নির্বাহী শামীমা রহমান।