নরসিংদী : দেশের গণ্ডি পেরিয়ে শিঙ্গাড়া, সমুচা, পরোটা যাচ্ছে সুদূর কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে এসব হিমায়িত খাবারের। তেলে ভেজে নিলেই খুব সহজে পরিবেশন করা যায় এসব খাদ্যপণ্য। এ ছাড়া মশলা ও নানা রকম উপকরণ দিয়ে হিমায়িত খাবার মজাদার স্বাদে তৈরি করা হয় বলে শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং তরুণ-তরুণীদের কাছে এর কদরই আলাদা।
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে রয়েছে তাদের হিমায়িত খাদ্যের কারখানা ‘প্রাণ ফ্রোজেন ফুডস লিমিটেড’। শীতলক্ষ্যার গা-ঘেঁষে গড়ে ওঠা শিল্পপার্কে সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাকে পণ্য বোঝাই করছেন শ্রমিকেরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব পণ্য যাবে। এ ছাড়া রপ্তানি করার জন্য পণ্য প্রস্তুত করছেন শ্রমিকেরা।
শিল্পপার্কের ৭ নম্বর গেট থেকে ভেতরে গেলেই চোখে পড়ে প্রক্রিয়াজাত হিমায়িত খাদ্যের কারখানা। এখানে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চলছে ৪০ ধরনের হিমায়িত খাদ্যপণ্য উৎপাদন। এসবের মধ্যে রয়েছে পরোটা, শিঙ্গাড়া, সমুচা, রুটি, চিকেন স্প্রিং রোল, চিকেন নাগেট, চিকেন পেটি, চিকেন সসেজ, পুরি, পপকর্ন, স্ট্রিপস, ফ্রেঞ্চফ্রাইসহ বিভিন্ন ধরনের হিমায়িত খাদ্যপণ্য। এসব খাদ্যপণ্য উৎপাদনের জন্য প্রাণের সাতটি উৎপাদন লাইন আছে। উন্নত প্রযুক্তি ও স্বয়ংক্রিয় মেশিনে তৈরি হচ্ছে এসব খাদ্যপণ্য।
কারখানাসংশ্লিষ্টরা জানান, রপ্তানির বাজার প্রশস্ত হচ্ছে দিন দিন। গত চার বছরে রপ্তানি বেড়েছে কয়েক গুণ। গত বছরই রপ্তানি বেড়েছে দ্বিগুণ।
প্রতিষ্ঠানটির অপারেশন ম্যানেজার রাসেল রেজা জানান, স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বর্তমানে সাতটি দেশে প্রাণের হিমায়িত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও সাইপ্রাসের বাজারে রপ্তানি হচ্ছে ‘প্রাণ’ ও ‘ডাব্বো’ ব্র্যান্ড নামে। পরিকল্পনা রয়েছে আরও বেশ কিছু দেশে রপ্তানি করার। তিনি জানান, ২০১৫ সালে প্রাণের হিমায়িত পণ্য বিআরসি সনদ অর্জন করেছে। এ ছাড়া আইএসও সনদ পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে। এ সনদ অর্জনে ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে।