শিশুদের জন্য দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই : প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

গোপালগঞ্জ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশকে তিনি এমন সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান যেখানে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অক্ষরজ্ঞানহীনতা থাকবে না। গত ১৭ মার্চ অপরাহ্নে জাতির পিতার ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত শিশু-কিশোর সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের দেশ প্রেমের আদর্শ নিয়ে বেড়ে উঠতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শিশুদের জীবন গঠনের আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশুদের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে তার সরকার।

শিশু প্রতিনিধি আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। শিশু কিশোর সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলা ব্র্যান্ডিং এর লোগোর রেপ্লিকা উপহার হিসেবে তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুকে লেখা শ্রেষ্ঠ চিঠি’ পাঠ করে শিশু সুরাইয়া ইয়াসমিন।

এর আগে সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গোটা জাতির পক্ষ থেকে স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধুর প্রতি ৯৯ তম জম্মবার্ষিকীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীর পাশে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকার পর পবিত্র সুরা ফাতেহা পাঠ করেন। তারা বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করেন। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সমাধি সৌধে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বঙ্গবন্ধু সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ দোয়া মুনাজাত করেন। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাঙালি জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জম্মদিনের শ্রদ্ধা জানাতে গত ১৬ মার্চ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে আসেন। সঙ্গে আসেন ছোট বোন শেখ রেহানা। ১০টার কিছু পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১১টার কিছু পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন।