ঠিকানা অনলাইন : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ১৪ দলীয় জোটের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও সরকার গঠিত হবে বলে দাবি করেছেন জোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, আমরা আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, ১৪ দলীয় জোটনেত্রী বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছি। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এ বাস্তবতাকে সামনে রেখেই তারা (বিএনপি) কৌশল সাজাচ্ছে।’
২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে বিএনপিসহ দেশবিরোধী অপশক্তি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে তার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নজিবুল বশর।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সস্ত্রীক ছবি প্রকাশের পর বিএনপির নেতারা রাতে ঘুমাননি বলে দাবি করেন নজিবুল বশর। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে খবর আছে, তারা সারা রাত জেগে ছিল। তারা অন্য কিছু খেয়েছিল কি না আমি জানি না। আজকে (শুক্রবার) যদি জেগে থাকে, সবাই ঝিমুচ্ছে। কারণ তারা দেখেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঝখানে দাঁড়ানো। এক পাশে দাঁড়ানো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, আরেক পাশে মিসেস বাইডেন। এই ছবি দেখার পর তাদের চোখে ঘুম নাই। তারা বুঝে গেছে কী হতে যাচ্ছে। গ্লোবাল মেরুকরণ হয়ে যাচ্ছে। অতএব, আমরাই আবার ওনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় যাব।’
নজিবুল বশর বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারে নেতৃত্বে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে এবং সেটা করব এবং সবাই ভোট দেবে। বিএনপি এল কি এল না, এতে কিছু আসে-যায় না।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে নজিবুল বশর বলেন, ‘নির্বাচনে আসুন। কিছু না কিছু তো ভোট পাবেন। কয়েকটা সিট পাবেন। না হলে আস্তাবলের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে যাবেন।’
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ইসলামিক নামধারী রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করে নজিবুল বশর বলেন, ‘আমি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে বাধ্য হব, এসব দলের নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করতে।’
এ সময় তিনি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আবেদন, যুদ্ধাপরাধী নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদীর বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে মামলার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার মামলায় নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদীকে গ্রেপ্তার করিয়েছি। না করলে… আপনারা যে বড় বড় কথা বলেন, মানবতাবিরোধী মামলায় ফাঁসি দিয়েছেন। ফাঁসি এখন হতো কি না বা মামলা এখনো করতেন কি না সন্দেহ আছে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
ঠিকানা/এনআই