শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে : কাদের

ফাইল ছবি

ঠিকানা অনলাইন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হলেও বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) চায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে।’

প্রকাশ্যে বৈরিতা দেখিয়ে আবার দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকাই বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা দুই দেশের মধ্যে গড়ে তুলেছে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল, ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প।’

কাদের বলেন, ‘বিএনপি তাদের শাসনামলে দ্বিপাক্ষিক কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে রচনা করেছেন উভয় দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন। ধারাবাহিকতায় এবারের সফরও পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং উন্নয়নের পথরেখায় সম্ভাবনার নতুন আলো ছড়িয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা যদি হাতের তালু দিয়ে চোখ ঢেকে রাখেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কোনও অর্জন দেখতে না পাওয়ারই কথা।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন ভারত তার সবকিছুই দিয়েছে। তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে ‘অপপ্রচার আর গুজব’ না ছড়িয়ে নিজেদের শাসনামলে ভারত সফরের প্রাপ্তি কী ছিল, তা আয়নায় দেখুন।’

আজ ১০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের প্রতি এ আহ্বান জানান।

বিএনপি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে, বিএনপির বসবাস সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে। বন্দুকের নলের মুখেইতো বিএনপির জন্ম।’

আন্দোলনের নামে জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, পেট্রোল বোমা আর সন্ত্রাস কাদের সৃষ্টি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িকতা আর ষড়যন্ত্র এই তিনটি নিয়েই বিএনপির রাজনীতি। বিএনপির টার্গেট লুটপাট আর দুর্নীতি। এ দেশের রাজনীতিতে মামলা-হামলা-ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাস-নৈরাজ্যকে লালন করছে বিএনপি, যা এখনও করছে।’

জনগণের প্রতি বিএনপির কোনও কমিটমেন্ট আগেও ছিল না, এখনও নেই বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

ঠিকানা/এসআর