ঠিকানা অনলাইন : খেলা সবেমাত্র শুরু হয়েছে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আর্সেনালের জালে বল জড়ালেন ফিলিপ বিলিং। বিরতির পর আরও একটা। ৭০ মিনিট পর্যন্ত বোর্নমাউথ এগিয়েই ছিল। তাতে ‘পচা শামুকে পা কাটা’ যেতে চলেছিল গানারদের। তবে কথায় আছে না ‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে’। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে সেটা আরও একবার প্রমাণ করলেন মাইকেল আর্তেতার শিষ্যরা। শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আর্সেনাল।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথ সর্বশেষ ১১ ম্যাচে শুধু একটিতে জিততে পেরেছে, তারাই কিনা লিগের শীর্ষে থাকা গানারদের বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। পরে ৮ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে সমতা ফেরানোর পর রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর আগ মুহূর্তে জাল কাঁপান তরুণ রেইস নেলসন। ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য গল্প লিখে ম্যাচটা আর্সেনাল জিতে নিয়েছে ৩-২ ব্যবধানে।
প্রথম মিনিটেই বোর্নমাউথকে এগিয়ে দেন ফিলিপ বিলিং। ৫৭ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন মার্কোস সেনেসি। দুই গোল খেয়ে যেন ঘুম ভাঙে আর্সেনালের। ৬২ মিনিটে থমাস পার্টির গোলে ব্যবধান কমিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় স্বাগতিকরা। তরুণ নেলসনের জাদুকরি মুহূর্ত দুটির কথা তো আগেই বলা হলো।
৬৯ মিনিটে এমিল স্মিথ রোর বদলি হিসেবে নেলসনকে নামান আর্সেনাল কোচ আর্তেতা। পরের মিনিটে তার অ্যাসিস্ট থেকেই গোল করে গানারদের সমতায় ফেরান বেন হোয়াইট। আর যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শটে দলকে জিতিয়ে প্রত্যাবর্তনটাকে তো স্মরণীয় করে রাখলেন।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে স্বস্তির এই জয়ে ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে আবার এগিয়েছে আর্সেনাল। সিটির সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান ফের ৫ করেছে গানাররা। আর্তেতার দলের পয়েন্ট ৬৩, গার্দিওলার সিটির ৫৮।
ঠিকানা/এনআই