ঠিকানা অনলাইন : চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল জার্মানি। গত দুই আসর ধরে তাদের যাচ্ছে তাই অবস্থা। ২০১৪ সালে শেষবারের মত নিজেদের রূপ দেখাতে সক্ষম হয়েছিলো ইউরোপীয়ান এ দলটি। এরপর ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ আসরে পেরুতে পারেনি গ্রুপ পর্বও। এবারও প্রায় একি দশা। আজ রাত ১ টায় গ্রুপ-ই’র তলানিতে থাকা দুই দল কোস্টারিকা ও জার্মানি আল বায়াত স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে।
প্রথম ম্যাচে হারের পর হান্সি ফ্লিকের জার্মানি স্পেনের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করে এবারের আসরে কোনমতে টিকে রয়েছে। অন্যদিকে স্পেনের কাছে সাত গোলে বিধ্বস্ত হবার পরও জাপানের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে ঘুরে দাড়িয়েছে কোস্টারিকা। জাপানের সাথে সমান তিন পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা কোস্টারিকা শীর্ষে থাকা স্পেনের তুলনায় মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। জার্মানির বিপক্ষে জয়ী হলে ইতিহাসের তৃতীয় বারের মত নক আউট পর্ব নিশ্চিত করবে কনকাকাফ অঞ্চলের দেশটি। তবে স্পেন যদি জাপানকে হারাতে পারে তবে লুইস ফার্নান্দো সুয়ারেজের দলের ড্র করলেই চলবে। কিন্তু পরাজিত হলে ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা দলটি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে। ১৯৯০ সালে কোস্টারিকা শেষ ১৬ থেকে বিদায় নিয়েছিল।
আট বছর আগে লস টিকোসরা ইতালিকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত করেছিল। সেই দলটি এবার শেষ ম্যাচে আরও এক ফুটবল জায়ান্টেদের সামনে দাঁড়িয়ে, যাদের হারাতে পারলে আবারো নক আউট পর্বে যাওয়া নিশ্চিত হবে। এদিকে প্রথম ম্যাচে এশিয়ান জায়ান্ট জাপানের কাছে বিস্ময়করভাবে হেরে গিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে বাঁচা মরার লড়াইয়ে স্পেনের মোকবেলা করেছে জার্মানি।
জার্মানির সামনে নকআউট পর্বে যেতে হলে কোস্টারিকানদের বিরুদ্ধে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। ড্র করলেও এবারের আসর থেকে বিদায় নিতে হবে ফ্লিকের দলকে। অন্যদিকে স্পেন ও জাপান যদি ড্র করে তবে জার্মানির অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। আর হাজিমে মোরিইয়াসুর দল যদি লা রোজাদের সাথে জয়ী হয়ে আরেকটি অঘটনের জন্ম দেয়া তবে স্পেনকে বিদায় করতে হলে ফ্লিকের দলকে অন্তত পাঁচ গোলের ব্যবধানে কোস্টারিকাকে হারাতে হবে।
ঠিকানা/এসআর