ঠিকানা রিপোর্ট : শো টাইম মিউজিকের ব্যানারে এর কর্ণধার আলমগীর খান আলমের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ফাগুন ও পিঠা উৎসব। ২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার অনুষ্ঠিত ফাগুন উৎসবে কানায় কানায় ভরে ওঠে কুইন্স প্যালেসের অডিটরিয়াম। নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা পিঠা উৎসবে যোগ দেন। সঙ্গে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ফাগুন ও পিঠা উৎসবে প্রবেশে কোনো ফি ছিল না। তবে পিঠা কিনতে হয়েছে। গরম গরম পিঠা সেখানে পরিবেশন করা হয়। সব পিঠাই ছিল সুস্বাদু। উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা কিনে খেয়েছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে।
এটি প্রথমবারের মতো ফাগুন উৎসব। এ উপলক্ষে নিউইয়র্কের ৪০ জনের বেশি সাংস্কৃতিক কর্মী ও ব্যক্তিত্বকে আলমগীর খান আলম শাড়ি উপহার দেন। তারা বাসন্তী রঙের সেই শাড়ি পরে উৎসবে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে কমিউনিটির নেতাদের মধ্যে ছিলেন শাহনেওয়াজ, নূরুল আজিম, আকাশ রহমান, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, শাহ জে চৌধুরী, একেএম হক, আবু বকর হানিফ, আহসান হাবীব, হাসান জিলানী, কাজী আজম, মাকসুদুল হক চৌধুরী, আব্দুর রশিদ বাবু, কামাল হোসেন, চৌধুুরী এস হাসান এমডি, মফিজুর রহমান, রেদওয়ান হক, মোশাররফ মিয়া, হেলাল মিয়া প্রমুখ।

কুইন্স প্যালেসে ২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার বেলা তিনটা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। বিকেল পাঁচটার দিকে ফিতা কেটে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, আবু হানিফ, শাহ জে চৌধুরী, রফিক আহমেদ ও আলমগীর খান আলম। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার পিঠা প্রদর্শনী ছিল। ছিল রকমারি শাড়ি কাপড় ও জুয়েলারি স্টল। পাশাপাশি ছিল র্যাফল ড্র। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সোনিয়া সিরাজ। আর স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। পিঠাপ্রেমীরা ফাগুনের বাহারি পোশাক পরে এসেছিলেন। তারা পিঠা খাওয়া ছাড়াও সেখানে বিভিন্ন স্টল থেকে কিনেছেন রকমারি পোশাক, শাড়ি, গহনা। উপভোগ করেছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ থেকে আসা শিল্পী মিম। এ ছাড়া এখানকার শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন তৃনিয়া হাসান, কামরুজ্জামান বকুল, শামীম সিদ্দিকী, রানো নেওয়াজ, লিমন চৌধুরী, অনিক রাজ, মেহা, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
আলমগীর খান আলম বলেন, অনুষ্ঠানটি সফলভাবে করতে পারায় আমি খুশি। দর্শনার্থীরা অনুষ্ঠানে এসে আনন্দ পেয়েছেন, এটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি। প্রবাসে বসে অনেকেই নিজের মতো পিঠা তৈরি করতে পারেন না। অনেক সময় দোকান থেকে কিনে খান। কিন্তু চোখের সামনে গরম গরম পিঠা বানানোর পর সেটি খাওয়ার মজাই আলাদা। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের স্টল ছিল, সেখানেও অতিথি ছিলেন উল্লেখ করার মতো। ফাগুন ও পিঠা উৎসব নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল লক্ষ করার মতো। আমি এর আগেও পিঠা উৎসব করেছি। কিন্তু পিঠা উৎসবের সঙ্গে ফাগুন উৎসব এবার নতুন করে শুরু করলাম। আগামীতেও এটি করব বলে আশা করছি। আমি বিভিন্ন জেলার পিঠা সংগ্রহ করেছিলাম এখানকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে। বাসায় বানানো পিঠা হওয়াতে সবাই বেশ উপভোগ করেছেন। আমি চেষ্টা করেছি সব জেলার পিঠার সমন্বয় করতে। ফলে সব জেলার মানুষের এই উৎসবের প্রতি আগ্রহ ছিল।
অনুষ্ঠানের স্পন্সর ছিলেন শাহনেওয়াজ, গিয়াস আহমেদ, চৌধুুরী এস হাসান এমডি, মার্কস হোম কেয়ার, হেলাল মিয়া, গ্রি মেকানিক্যাল ইয়ংকার্স, ব্লুগ্রিন, দুলাল বেহেদু, তারেক হাসান খান, ক্রেডিট রিপেয়ার, মোশাররফ মিয়া, সালাম ভূইয়া, মইনুল ইসলাম, মোহাম্মদ চিশতি সিপিএ, ফ্রেশ ফুড, সিলেট মটরস, লিটু চৌধুরী, লিবার্টি রেনোভেশন, সরওয়ার চৌধুরী সিপিএ, আহসান হাবীব, আব্দুর রশিদ বাবু, প্রিমিয়াম সুপার মার্কেট, কর্ণফুলী ট্যাক্স সার্ভিস, মাসদু এইচ সিরাজিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।