ঠিকানা অনলাইন : শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ হলেও খেলাটা যেন হয়েছে গ্লেন ফিলিপস ও শ্রীলঙ্কার। ফিলিপসের একার রানই যে করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড করে ১৬৭ রান। ফিলিপস খেলেন ১০৪ রানের ইনিংস। অথচ শ্রীলঙ্কা অল আউট হয়েছে ১০২ রানে। সিডনিতে লঙ্কানদের ৬৫ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের কাছাকাছি চলে গেল কিউইরা।
১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো রান না করেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের পঞ্চম বলে টিম সাউদির লেগ বিফোরের শিকার হয়েছেন পাথুম নিশাঙ্কা। এরপর ট্রেন্ট বোল্টের আগুনে বোলিংয়ে চোখে সরষে ফুল দেখতে থাকে লঙ্কানরা। কুশল মেন্ডিস, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, চারিথ আসালাঙ্কা – এই তিন লঙ্কান ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান বোল্ট। ৩.৩ ওভারে ৮ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
পাওয়ার প্লের এই বিপর্যয় কাটাতে না কাটাতেই আবারও উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মিচেল স্যান্টনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে বোল্টের তালুবন্দী হন চামিকা করুণারত্নে। ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা এরপর প্রতিরোধ গড়ে ষষ্ঠ উইকেটজুটিতে ভানুকা রাজাপক্ষে ও দাসুন শানাকার ব্যাটে। দুজনের ব্যাটে আশার আলো খুঁজে পায় লঙ্কানরা। তবে রাজাপক্ষেকে ফিরিয়ে দিয়ে ২৩ বলে ৩৪ রানের জুটি ভেঙে দেন লুকি ফার্গুসন। ২২ বলে ৩৪ রান করেন লঙ্কান এই বাঁহাতি ব্যাটার।
রাজাপক্ষের বিদায়ের পর যা একটু লড়াই করেছিলেন শানাকা। তবে তা শ্রীলঙ্কার বড় পরাজয় ঠেকাতে পারেননি। ১৯.২ ওভারে ১০২ রানে অল আউট হয়ে যায় লঙ্কানরা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন লঙ্কান অধিনায়ক। কিউই বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বোল্ট। ৪ ওভার বোলিং করে ১৩ রান খরচ করেন এই কিউই পেসার। ম্যাচসেরা হয়েছেন ফিলিপস। ৬৪ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৪ রান করেন কিউই এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। গ্লেন ফিলিপসের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৭ রান করে কিউইরা। ব্যক্তিগত ১২ রানে জীবন পেয়ে ১০৪ রান করেন ফিলিপস। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন কাসুন রাজিথা। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকসানা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও লাহিরু কুমারা।
ঠিকানা/এনআই