
হাসান রাজীব
এই যে আকাশ দিগন্তে তার ছাউনি দিয়ে ঘেরা
ওই পাহাড়ের সঙ্গে তার অনন্তকাল ধরা।
এই ফসলের মাঠে আমার নিত্য আসা যাওয়া
প্রাণ জুড়ানো জারি সারি রাখালি গান গাওয়া।
এই যে পথিক পথ ভুলে যে আমার আঙিনায়
ক্লান্ত তাহার সারাটি দিন ভুলিয়ে দিলাম ভাই।
আমার মায়ের সবুজ আচল বন বনানী ঘেরা
তৃষ্ণা যে তার যায় মিটিয়ে ঝরনা বারি ধারা।
ওই নীলাভের ঘনঘটায় প্রান্ত ছুয়ে যায়
আমার মায়ের স্নেহ মাখা তবু না ফুরায়।
এই দেখ গো দীঘির পাড়ে সান বাঁধানো ঘাট
আমায় ভুলে বসবে তুমি মখমলেরওই খাট।
তোমায় নিয়ে সারাটা দিন গাইবো সুখের গান
আম জাম আর কাঠাল তুলে পান সুপারি ধান।
এই দেখ এই চিত্র নদীর জল কল কল টানে
সকাল দুপুর সন্ধ্যা যাবে বুঝবে না তার মানে।
ভর দুপুরে বধূ দেখ নাওর যাওয়ার পালা
ব্যাগটা তাহার সাথেই আছে স্বামীর কাছে পোলা।
জল আনতে কোন ষোড়শী কাজল বিলের ধারে
বন্ধু তািম কোথায় ডাকছি বারে বারে।
ষোড়শী দেখে কতবার আড়ে মধুর সে চাহনী
কত শত কথা বলার ব্যাকুলতা শুনিছে কি ধরনী।
চলিতে চলিতে পথের বাঁকে শেষ হয় না বলা
থেমে থেমে তার বজ্র নিনাদ, দৃষ্টি ছলাকলা।
দিনের শেষে রাত্রিবেলা আঁধার নেমে এলে
ভাবনা কিহে এটুক জেন জোনাক দেব জ্বেলে।
উঠানের কোণে পেতে দেব শীতল পাটি খানা
যে রূপে তোমার শহরের ওই লাল গালিচা সংবর্ধনা।