ঠিকানা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র গত ৪ অক্টোবর সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ব্যাপকভিত্তিক একটি নতুন কৌশল উপস্থাপন করেছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় যে কৌশল প্রণয়ন করেছিলেন এটিকে তার চেয়ে অনেক বিস্তৃত বলা হচ্ছে। ২০১১ সালের পর এই প্রথম এ সম্পর্কিত কোনো কৌশল প্রণয়ন করল মার্কিন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এই কৌশলের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী মতাদর্শের নতুন পরিমাপ বা সংজ্ঞা সামনে এনেছি। আমি মনে করি, অনেকদিন ধরেই প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, আদর্শগত সংগ্রামের ক্ষেত্রে তাদেরকে সঠিকভাবে চেনা ছাড়া ওই সব সন্ত্রাসবাদী হুমকির সঠিক মোকাবেলা আমরা করতে পারব না।তিনি বলেন, ‘নতুন কৌশলে আমরা যে সন্ত্রাসী আদর্শের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি তাকে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট দীর্ঘ দিন ধরে এ কথাটি বলে আসছিলেন, তার মত হচ্ছে, আমরা একটি আদর্শিক লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছি, তাই তাকে চিহ্নিত করা ছাড়া আমরা সঠিকভাবে সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবেলা করতে পারবো না।’ওবামা প্রশাসন এক্ষেত্রে যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, তাতে তত্ত¦কথা বেশি থাকলেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেটি তেমন উপকারী ছিল না ট্রাম্প প্রশাসন মনে করছে। বর্তমান প্রশাসনের নেয়া এই কৌশলে শুধু ওবামা নয়, বরং প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের পরিকল্পনার বিভিন্ন দিকও প্রতিফলিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন এবং সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আরো কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছেন। বোল্টন আরো বলেন, বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ব্যাপ্তি আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি এবং জটিল আকার ধারণ করেছে। ২০০১ সাল থেকে আমরা আমাদের দেশে বড় আকারের হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সফল হয়েছি, কিন্তু সার্বিকভাবে সন্ত্রাসীদের হুমকির ক্ষেত্রে আমরা তা যথাযথভাবে হ্রাস করতে পারিনি।নতুন এই পরিকল্পনা সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেবে এবং বিভিন্ন সংস্থার ওপর চাপ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের তাদের শক্তির উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে। এছাড়া সন্ত্রাস মোকাবেলায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এর ফলে সন্ত্রাসীরা তাদের পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
- বিজ্ঞাপন -