সবই জানতেন এসপি ইকবাল

কক্সবাজার : কক্সবাজারে আলোচিত ৭ লাখ ২২ হাজার পিস ইয়াবা পুলিশ কর্তৃক বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পাচ্ছে তদন্ত কমিটি। আর ঘটনার সবই জানতেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তিনি নীরব ছিলেন। তৎকালীন ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তার জবানবন্দিতে উঠে এসেছে ঘটনার আদ্যপান্ত। এ ঘটনায় গঠিত পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটির কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৭ লাখ ইয়াবা ৮ কোটিতে বিক্রি’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় পুলিশ প্রশাসনে। পুলিশ সদর দপ্তর ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ড. একেএম ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করে ডিআইজি স্যারের কাছে একটি প্রতিবেদন দিয়েছি। বিষয়টি তৎকালীন ডিবির কোনো কর্মকর্তা তাকে জানাননি দাবি করে পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাটি কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। জবানবন্দিতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রথমে জানতে পারি, ৭ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা আটকের পর ৭ লাখ ২০ হাজার পিস আত্মসাৎ করা হয়। টেকনাফ সদরের উত্তর লসূরী গ্রামের আব্দুল কাদেরের বাগানবাড়িতে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ৭ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল। ডিবির এসআই জাবেদ বাদী হয়ে মাত্র ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মামলা করেন টেকনাফ থাকায়। পরে ৭ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা গায়েবের বিষয়টি আমি নিজে দেখা করে এসপি স্যারকে জানাই। এসপি স্যার আমাকে বলেন, তুমি যেহেতু ছুটিতে ছিলে, কাজেই তোমার এসব জানার দরকার নেই। দায়িত্ববোধ থেকে এসপিকে ঘটনাটি জানান বলে উল্লেখ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওই জবানবন্দিতে পুলিশ কর্তকর্তা আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হলে এসপি স্যারের চেনাজানা আরেকজন এসপি স্যারকে দিয়ে একজন এসআইকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়। এসব তৎপরতার মাধ্যমে ঘটনার সতত্যা পাই আমি।