সমালোচনা হলেও বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের কথা বলে যাবে জার্মানি

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার বলেছেন, সমালোচনা হলেও বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের কথা বলে যাবে তার দেশ। বাংলাদেশের বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে জার্মানি সহিংসতামুক্ত রাজনীতির জন্য এখানকার স্টেকহোল্ডারদের প্রতি আহ্বানও জানিয়ে যাবেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঢাকায় জার্মান বিজনেস কাউন্সিলের যাত্রা উপলক্ষে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহী। এই বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরিবেশ থাকা জরুরি।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শত্রু না ভাবার উন্মুক্ত আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় জার্মানি। একই সঙ্গে নির্বাচনকে ঘিরে যেন কোনো সহিংসতা না হয়, সেটাও আশা করে তার দেশ। বাংলাদেশে জার্মান বিজনেস কাউন্সিলের (জিবিসি) কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, জিবিসি জার্মান ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি জার্মান দূতাবাসের উপদেষ্টা সংস্থা হিসেবেও কাজ করবে।

বাংলাদেশে এত দিন জার্মান কোম্পানিগুলোর কোনো প্ল্যাটফর্ম না থাকার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, অতীতে বাংলাদেশে জার্মান ব্যবসার প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব অনুপস্থিত ছিল। জিবিসি বাংলাদেশে সম্পূর্ণরূপে জার্মান ব্যবসায়িক স্বার্থের একটি প্ল্যাটফর্ম হবে বলে আশা করি। ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত হয় জিবিসি। এটি ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানও।

সংবাদ সম্মেলনে জিবিসির চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদুল হাসান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান অংশীদার হবে। জার্মানি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার এবং বাংলাদেশ থেকে পণ্যের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানিকারক। ২০২১ সালে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬০ জার্মান কোম্পানি তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কথা বলায় বিরক্ত সরকার। এ নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা সমালোচনামুখর। প্রায়ই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কূটনীতিকদের সাক্ষাৎ-বৈঠক এবং বক্তৃতা-বিবৃতির ক্ষেত্রে কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলার তাগিদ দেওয়া হয়।

ঠিকানা/এনআই