শিখা সেন গুপ্তা
সমুদ্দুর মোর, তুই যে শতসহস্র জীবিকার ও ভরসার স্থল।
তোর ফেনিল বুকে অঝোরে নামে সহস্রজনার আহাজারির ঢল।
তোর ভয়াল নখর বিধ্বংসী রূপ হানে কবির বুকে শরণ।
তোর শ্বেতকায় ঢেউ যে সদ্য বিধবার বৈধব্য বসন।
তোর কাছে গেলে উথলি উঠে রোদনভরা বসন্ত।
তোর লবণ চোখে চোখ রেখে অশান্ত হৃদয় হয় শান্ত।
সমুদ্দুর মোর, তোর জোয়ার-ভাটার অনন্ত কিরীট কাকে বল পরাব!
কারে আমি শামুকের মালায় জড়াব!
কোন তীরে বাঁধব বালির বাঁধ!
কোন জলে মেটাব তিয়াসে স্বাদ।
বালির তটে পা ডুবিয়ে উঠতে নাহি পারি।
কোন তরীতে মন ভেজাব, নাও ডোবাবে তুমি।
তুই ভেঙেছিস রোরুদ্যমান সধবার সতীত্বের দ্বার।
তোর দুয়ারে সদ্য বিধবার নিত্য হাহাকার।
তোর শিয়রে বসে মদ্যপ নিত্য চাটছে নারীর সম্ভ্রমের সুরা।
তবুও তোর অন্তর্বাস দেখার অলিখিত লোভী হেথায় ভরা।
কড়ির চাবি নেড়ে নেড়ে তোর উঠানে বৌঠানের বুক ভাঙার আওয়াজ।
উজানের শিরশির বায়ে নোয়ায় বৈঠা, আদুরীর যত লাজ।