সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে বক্তারা

নিউইয়র্ক :বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, যুক্তরাষ্ট্র কমান্ড-এর অনুষ্ঠানে মোনাজাত আদায়। 

ঠিকানা রিপোর্ট : বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতারা। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনসমুহের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন হবেই। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ২৫ ডিসেম্বর রোববার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্টে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল যুক্তরাষ্ট্র শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্বা দলের সহ-সভাপতি আলহাজ বাবর উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম নেতা মোহাম্মদ আব্দুল বাতিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি যুক্তরাষ্ট্রের আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু। প্রধান বক্তা ছিলেন মুলধারার রাজনীতিক এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ।

নিউইয়র্ক :বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, যুক্তরাষ্ট্র কমান্ড-এর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গিয়াস আহমেদ।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুস সবুর, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম উদ্দীন ভুঁইয়া, বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন সবুজ, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমান।
আলোচনায় আরো অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ, বর্তমান সদস্য সচিব জাহাংগীর সোহরাওয়ার্দী, সাবেক ছাত্রনেতা শোয়েব আহমেদ, কোকো পরিষদের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রাজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান খান, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিক উল্লাহ দীপু, আলী মিলন, বাদল মীর্জা, ছাত্রদল নেতা ফরিদ খোন্দকার, রিপন মিয়া, হাসান আহমেদ, মীর্জা আজম প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল। দলের নেতা-কর্মীরা দেশ, মাটি ও গণমানুষের রাজনীতি করে। তাই দেশে স্বৈরাচারমুক্ত রাজনীতির স্বার্থে বর্তমান সরকারকে হঠিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে প্রবাস থেকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।