‘সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের লাগেজ থেকে টাকা চুরি’, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন এমন ঘটনা ঘটেনি

পাঁচ ক্যামেরা বিশ্লেষণ : ‘বিমানবন্দরে টাকা চুরি ও লাগেজ ভাঙার ঘটনা ঘটেনি’

ঠিকানা অনলাইন : সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ী নারী ফুটবল দল গতকাল বুধবার দেশে ফিরেছে। তাদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠে পুরো দেশ। এরই মধ্যে একটি খারাপ খবর এসেছে। কৃষ্ণা রানী সরকার ও শামুসন্নাহারের লাগেজ থেকে ডলার, কাপড়চোপড়সহ কিছু জিনিস নাকি খোয়া গেছে।

এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দলের দুই খেলোয়াড়ের টাকা চুরি ও লাগেজ ভাঙার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নারী ফুটবল দল সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণার লাগেজ থেকে ৪০০ ডলার এবং শামসুন্নাহারের লাগেজ থেকেও কিছু নেপালি টাকা ও কাপড় হারিয়ে যায়।

এ ছাড়াও অনেকের লাগেজের তালা ভাঙা ছিল বলেও জানা যায়। যেখানে শাড়ি, প্রসাধনীসহ মূল্যবান উপহার সামগ্রী ছিল। সংবর্ধনার পর রাতে ফুটবলাররা যখন লাগেজ হাতে পান তখন বিষয়টি নজরে আসে তাদের।

এদিকে লাগেজ থেকে টাকা চুরির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ। রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা কি তা জানা যাবে বলে জানায় তারা।

বিমানবন্দরে সংবর্ধনা শেষে ছাদখোলা বাসে করে মতিঝিলে বাফুফে ভবনে যাওয়া হয় নারী ফুটবলারদের। পরে বাফুফেতে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হায়।

গত সোমবার ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই দুই গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে পায় তৃতীয় গোল। শামসুন্নাহার জুনিয়র একটি ও কৃষ্ণা রানি সরকার দুটি করে গোল করেন।

এটি সাফে মেয়েদের প্রথম শিরোপা জয়। এর আগে অনেকবারই ফাইনালে খেলেছিল তারা, কিন্তু একবারও শিরোপার উল্লাস করতে পারেনি। দীর্ঘ দিন পর অধরা শিরোপা এনে দিয়েছে তারা।

পাঁচ ক্যামেরা বিশ্লেষণ : ‘বিমানবন্দরে টাকা চুরি ও লাগেজ ভাঙার ঘটনা ঘটেনি’: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দলের দুই খেলোয়াড়ের টাকা চুরি ও লাগেজ ভাঙার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

আজ ২২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এ কথা জানিয়েছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তা ইমরানকে অক্ষতভাবে লাগেজ হস্তান্তর করা হয়। পাঁচটি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে লাগেজ ভাঙা, চুরি— এসবের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাফুফে কর্মকর্তা অক্ষত দেখেই লাগেজ নিয়ে গেছেন।

বিমানের ল্যান্ডিং এরিয়া, ব্যাগেজ মেকআপ এরিয়ায় ট্রলির আগমন, ব্যাগেজ মেকআপ এরিয়ার প্রথম লাগেজ ড্রপ, বেল্ট নম্বর ৮-এ লাগেজ আসা, ব্যাগেজ মেকআপ এরিয়ায় সর্বশেষ লাগেজ আসা— এই পাঁচটি এরিয়ার সিসিটিভ ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলেও জানান গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।

ঠিকানা/এসআর