সাফ বিজয়ী মেয়েদের পুরস্কৃত করা হোক

শিতাংশু গুহ : বাংলাদেশের মেয়েরা সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। এই প্রথম। এরা দেশের জন্যে সম্মান বয়ে এনেছে, এদের অভিনন্দন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তাদেও জন্য কোন পুরস্কার ঘোষণা করা হয়নি। হওয়া উচিৎ। ক্রিকেটের ক্ষেত্রে আমরা বড় বড় পুরস্কার দেখেছি, ফুটবলে দেখিনি, নারী ফুটবলেতো নয়ই। বাফুফে ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখলাম, বিজয়ী মেয়েদের কোন ছবি নেই, কারণ কি যে ওরা হাফ প্যান্ট পড়া? যাই হোক, স্যালুট টু আওয়ার গার্লস। অশিক্ষা, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতার উর্দ্ধে উঠে বাংলাদেশের মেয়েরা এগিয়ে যাক। নারীশক্তি জাগ্রত হোক। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।
২. পহেলা অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙা শুরু হয়েছে। আসলে মূর্তি ভাঙা জানান দিচ্ছে, দুর্গাপূজা এসে গেছে। মূর্তি ভাঙা বাংলাদেশে নুতন কিছু নয়, সংবিধানের ৫ম ও ৮ম সংশোধনী এতে উৎসাহ যোগায়। পত্রিকায় দেখলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন, ব্যাপক নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন। আচ্ছা পূজায় পুলিশ লাগে কেন? ঈদে তো লাগে না? এ প্রশ্ন প্রকাশ্যে তুললে ‘ধর্ম অবমাননা’ হবে না তো? গতবছর দুর্গাপূজায় যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, এবার তা ঘটবে না তো? যাঁরা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে গদগদ, তাঁদের বলা যায়, পুলিশ প্রহরায় পূজা হলে বোঝা যায়, ওটা ফাঁকা বুলি!
৩. কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। সামাজিক মাধ্যমে একজনের প্রশ্ন, তরমুজের বাইরে সবুজ, ভেতরে লাল, যা আমাদের জাতীয় পতাকার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবু কেন কাঁঠাল জাতীয় ফল? রসিক একজন উত্তর দিয়েছেন যে, কাঁঠালের সাথে তেলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে, তরমুজের সাথে নেই, তাই কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী যদি আর কিছুই না লিখতেন, তবু শুধুমাত্র ‘তৈল’ প্রবন্ধটি লিখে বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে থাকতেন। ডাক্তাররা যতই তেলের অপবাদ দিন না কেন, শাস্ত্রীজীর তেলের ‘উপকারিতা’ বাংলদেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে পাচ্ছেন। ‘তেলের ওপরে ওষুধ নাই’। ‘তেলই কেবলম’, অর্থাৎ তেলই সব।