ঠিকানা অনলাইন : আটলান্টিকের তলায় বিধ্বস্ত টাইটান সাবমারসিবলে আরোহনে ভীতিসন্ত্রন্ত্র ছিলেন সুলেমান দাউদ। তারপরও পিতার উৎসাহে সাগরের অতলে ‘ঝাঁপ’ দিয়েছিলেন। কিন্তু কে জানতো সেই সিদ্ধান্ত পিতা-পুত্রের জীবনের ‘রোজ কিয়ামত’ হবে! সুলেমান দাউদের ফুফু আজমি দাউদ বলেছেন, টাইটানে পিতা শাহজাদা দাউদের সঙ্গে সফরসঙ্গী হয়েছিল ১৯ বছরের সুলেমান। সে সমুদ্রের গভীরে এমন অভিযান নিয়ে ভয়ে ছিল। পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদের বোন আজমি। থাকেন আমস্টারডামে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার জিও টিভিকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। তিনি বলেন, তার ভাতিজা সুলেমান দ্বিধান্বিত ছিল এই অভিযান নিয়ে। তার ভীষণ ভয় হচ্ছিল। নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সুলেমানকে ২২ ফুট দৈর্ঘের ওশিনগেটে আরোহনে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
তার পিতা শাহজাদা টাইটানিকের ইতিহাস নিয়ে খুব মুগ্ধতায় ছিলেন। তাকে খুশি করতে চেয়েছিল সুলেমান। আর ঘটনাটা পিতা দিবসের সঙ্গে মিলে গিয়েছিল।
টাইটান সাবমারসিবল এখন আরেক ইতিহাস। আটলান্টিকের তলদেশে বিস্ফোরিত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে আছে। আর এর আরোহী ৫ জনের দেহ মিলে গেছে সাগরের পানিতে। ওশিনগেট কোম্পানি এমনটাই নিশ্চিত করেছেন। এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছে না পরিবার। আত্মীয় স্বজন, বিশ্ববাসীর মাঝে এক শোকের আবহ বিরাজ করছে। আজমি দাউদ বলেছেন, যেন বাস্তবের একটি বেদনায়ভরা সিনেমা দৃশ্যায়ন হলো আমাদের সামনে। সময় গণনার সঙ্গে সঙ্গে তা ট্রাজেডিতে রূপ নিলো। তাদের কথা ভেবে আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে। খুউব।
আজমি ও শাহজাদা পাকিস্তানের সুপরিচিত একটি করপোরেট পরিবারের সন্তান। তারা ব্যবসায় সাম্রাজ্যের জন্য পরিরচিত। তাদের কোম্পানির নাম দাউদ হারকিউলিস করপোরেশন। বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের বিনিয়োগ আছে। করাচিতে ইংগ্রো করপোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন শাহজাদা। বৃটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের একটি দাতব্য সংগঠন ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনালের উপদেষ্টা ছিলেন।
এসআর