সামরিক বিমানে গাদাগাদি করে সুদান ছাড়ছেন ইউরোপীয়রা

ঠিকানা অনলাইন : সুদানে গত ১৫ এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী এবং প্যারা-মিলিটারি বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস-আরএসএফের মধ্যে লড়াই চলছে।

রাজধানী খার্তুমের পরিস্থিতি এখন সবচেয়ে ভয়াবহ। এ কারণে বিদেশী কূটনীতিকরা দ্রুত দেশটি ছেড়ে পালাচ্ছেন। খবর বিবিসির।

ইউরোপীয় দেশগুলোর নাগরিকরা সামরিক বিমানে গাদাগাদি করে সুদান ছাড়ছেন।

ইউরোপের একটি দেশের কূটনীতিকের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত সুদান ছেড়েছেন ১ হাজার ১০০ ইউরোপীয় নাগরিক।

সুদানে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে সরকার চালাচ্ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান, যিনি কার্যত দেশটির নেতা এবং আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালু, যিনি ছিলেন উপ-নেতা। কিন্তু এই দুইজনের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দুই বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে।

এ পর্যন্ত ক্ষমতার এই লড়াইয়ে কমপক্ষে ৪১৩ জন নিহত এবং সাড়ে ৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

সুদান থেকে মার্কিন কূটনীতিক ও তাদের পারিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।

সুদানের আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস-আরএসএফ গত রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দেশটির সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্যে এক মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার পর শনিবার তাদের সব কূটনীতিক ও পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘোষিত যুদ্ধবিরতির মধ্যে শনিবার আরএসএফের সহযোগিতায় ৬টি মার্কিন বিমানে করে দেশটির কূটনীতিকরা সুদান ছাড়েন।

এ ছাড়াও অন্য দেশের নাগরিকরা শনিবার রাজধানী খার্তুম থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লোহিত সাগরের একটি বন্দর দিয়ে সুদান ছেড়েছেন।

যুদ্ধের কারণে দেশটির প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় সৌদি আরবের সহযোগিতায় লোহিত সাগরের বন্দর দিয়ে সুদান থেকে পালাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মানুষ।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের ৯১ জন নাগরিক নিরাপদে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

এছাড়াও তারা তাদের জাহাজে করে- বাংলাদেশ, কুয়েত, কাতার, আরব আমিরাত, মিশর, তিউনেশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বুলগেরিয়া, ফিলিপাইন, কানাডা ও বুর্কিনো ফেসোর নাগরিকদের সুদান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন।

এ উদার মানবিকতার জন্য সৌদি আরবকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন জো বাইডেন।

ঠিকানা/এসআর