সালমান রুশদি বেঁচে যাওয়ায় অবাক হাদি মাতার

ঠিকানা অনলাইন : ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক সালমান রুশদির ওপর হামলা চালানো হাদি মাতার লেখকের বিতর্কিত উপন্যাস দ্য স্যাটানিক ভার্সেসের কেবল দুই পৃষ্ঠা পড়েছিলেন। হামলার পর লেখকের বেঁচে যাওয়ায় তিনি ভীষণ অবাক হয়েছেন। কারাগার থেকে নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব জানান ২৪ বছর বয়সী হাদি।

তিনি বলেন, বইটির ‘পৃষ্ঠা দুয়েক’ পড়েছিলাম। ওনাকে আমি পছন্দ করি না। আমার মনে হয় না তিনি খুব ভালো মানুষ। তিনি এমন একজন, যিনি ইসলামকে আক্রমণ করেছেন, তাদের বিশ্বাস এবং মূল্যবোধকে আঘাত করেছেন। হামলা থেকে বেঁচে গেছেন শুনে অবাক হয়েছি।

নিউইয়র্কের শাটোকোয়া ইনস্টিটিউশনে গত সপ্তাহে বক্তব্য রাখার সময় রুশদির ওপর ছুরি হামলা চালান হাদি মাতার। ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয় হাদিকে। শাটোকোয়া কাউন্টি জেলে বন্দী আছেন তিনি।

১৯৮৮ সালে রুশদির বিখ্যাত এবং বিতর্কিত উপন্যাস দ্য স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশিত হয়। এটির বিষয়বস্তুতে ক্ষুব্ধ হয় মুসলিম বিশ্ব। ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি ১৯৮৯ সালে রুশদির মৃত্যুদণ্ডের জন্য ফতোয়া জারি করেন।

হামলার সঙ্গে আশির দশকে ইরানের জারি করা ফতোয়ার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা নিশ্চিত করেননি হাদি। তিনি বলেন, ‘আমি আয়াতুল্লাহকে সম্মান করি। আমি মনে করি তিনি একজন মহান ব্যক্তি।’

চলতি সপ্তাহের শুরুতে হাদির মা বলেছিলেন, তিনি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেছেন, ‘আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেছি। তাকে আমার কিছুই বলার নেই।’

হামলায় রুশদির লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি এক হাত ও চোখের স্নায়ু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রুশদির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাণঘাতী হামলার পরও বুকার পুরস্কার বিজয়ী লেখক তার সহজাত ও অদম্য রসবোধ হারাননি।

ঠিকানা/এনআই