সিনিয়র নাগরিকদের স্ক্যামিং থেকে সতর্ক থাকতে বার্তা

নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : কুইন্সের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ম্যালিন্ডা ক্যাটসের অফিস থেকে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাম রয়েছে, যেগুলো বয়স্কদের টার্গেট করে করা হয়ে থাকে। এ জন্য স্ক্যামাররা গ্র্যান্ডারেন্ট জল/বল স্ক্যাম, অনেক সময় বয়স্ক মানুষের গ্র্যান্ড চাইল্ডদের ট্রাবলে ফেলে কিংবা তারা সমস্যায় রয়েছে বলে স্ক্যাম করে থাকতে পারে। সেটা করে তারা আবার ক্যাশ বেইল চাইতে পারে। এ জন্য এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এ ছাড়া লটারি উইনারের কথা বলেও স্ক্যাম হতে পারে। স্ক্যামাররা বলতে পারে, আপনি লটারি উইনার হয়েছেন অথবা বলতে পারে, আপনি লটারি উইন করার জন্য সিলেক্টেড হয়েছেন। লটারি উইনিংয়ের অর্থ পাওয়ার জন্য ফি প্রয়োজন। স্ক্যামাররা কল করে বলতে পারে, তারা সরকারি অফিস কিংবা এজেন্সি থেকে ফোন করছে। ফোনে বলতে পারে, আপনি সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির কাছে দেনা রয়েছেন বা আপনার কাছে অর্থ পাবে। এ জন্য অর্থ দিতে হবে। রোমান্স স্ক্যাম বলেও স্ক্যাম হতে পারে। স্ক্যামাররা অনলাইন থেকে ফেক আইডেন্টিটি নিতে পারে। সেটা নিয়ে তারা বিভিন্ন উপায়ে স্ক্যাম করার সুযোগ খুঁজতে থাকবে। সব ধরনের স্ক্যামের উল্লেখ করে কুইন্সের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস থেকে সিনিয়র সিটিজেনদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কীভাবে স্ক্যাম হতে পারে, সে বিষয়ে বলা হয়েছে, টেলিফোনেই স্ক্যাম বেশি হয়ে থাকে। স্ক্যামাররা ইন্টারনেট, ইমেইলের মাধ্যমেও স্ক্যাম করে। তারা যে কারো কাছে ইমেইল করে লিঙ্ক পাঠাতে পারে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই স্ক্যামাররা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কম্পিউটারের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। ইনপারসনও কখনো কখনো বয়স্করা বিভিন্ন ধরনের অপরাধের শিকার হন। ফেক লটারি লেটার, ফোর ক্লোজার, মর্টগেজ অ্যাসিস্ট্যান্টের কথা বলে এটা করা হতে পারে। এসব বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
এ ছাড়া স্ক্যামাররা পার্সোনাল বিভিন্ন ইনফরমেশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। নানা রকম লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর, ইমেইল ঠিকানাসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন ধরনের তথ্য চাইতে পারে। তাই এ ধরনের কোনো তথ্য কাউকে দেওয়া যাবে না, দিলে বিপদে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
স্ক্যাম থেকে বাঁচতে হলে অচেনা লোককে ক্যাশ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশ্বস্ত লোক ছাড়া কারো সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে কেউ যোগাযোগ করতে চাইলেও যোগাযোগ করা যাবে না। সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করলে স্ক্যাম থেকে দূরে থাকা সম্ভব। এর পরও কেউ স্ক্যামের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে লোকাল পুলিশ প্রিসিঙ্কটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের অফিস ফ্রড ব্যুরোর সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া এফবিআই ইন্টারনেট ক্রাইম কমপ্লেন্ট সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।