সিনেটর প্রার্থী শেখ রহমানের মতবিনিময়

ঠিকানা রিপোর্ট: নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী কম্যুনিটি দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশী কম্যুনিটি আমার জন্য ওয়ার্ম কম্যুনিটি। আমি তৃতীয় টার্ম কংগ্রেসে আছি। আমার প্রতিটি নির্বাচনে বাংলাদেশীরা আমার পাশে ছিলেন। এখন বাংলাদেশী কম্যুনিটিকে ভোটে নয় পদে আসতে হবে। এলায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার (এ্যাসাল) আয়োজিত জর্জিয়ার স্টেট সিনেটের ডিস্ট্রিক্ট-৫ এর প্রার্থী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শেখ রহমানের মতবিনিময় সভায় গেস্ট স্পীকার কংগ্রেসঔম্যান এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির ভাইসচেয়ারম্যান গ্রেস মেং এ কথা বলেন। এ্যাসালের কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট মাহ মিসবাহ উদ্দিনের পরিচালনায় গত ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের কাবাব কিং রেস্টেুরেন্টে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় গেস্ট স্পীকার ছিলেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং। অন্যান্যর মধ্যে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন স্টেট সিনেটর প্রার্থী শেখ রহমান, এ্যাসালের জর্জিয়া চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ্যাসালের স্ট্যাইটেন্ট আইল্যান্ড চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ড. নীত্তানন্দ চ্যাটার্জি, নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বর্ণমালার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, কম্যুনিটি অ্যাক্টিভিস্ট হাসানুজ্জামান হাসান, এ্যাসালের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ করিম চৌধুরী, মূলধারার রাজনীতিবিদ মোর্শেদ আলম, গিয়াস আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নূরুল হক এবং মোহাম্মদ আলী হোসেন।
কংগ্রেসঔম্যান গ্রেস মেং বলেন, নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী কম্যুনিটি দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। যে কারণে নিউইয়র্ক সিটির ব্যালটে এখন বাংলা লেখা হচ্ছে। বাংলাদেশী কম্যুনিটি আমার জন্য ওয়ার্ম কম্যুনিটি। আমি তৃতীয় টার্ম কংগ্রেসে আছি। আমার প্রতিটি নির্বাচনে বাংলাদেশীরা আমার পাশে ছিলেন। যে কারণে আমি নির্বাচিত হবার পর বাংলাদেশীদের পাশে আছি এবং আগামীতেও থাকবো। তিনি আরো বলেন, কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হবার পর আমি দেখলাম ডেমক্র্যাটিক পার্টিও কমিটিতে কোন সাউথ এশিয়ান নেই। আমিও ন্যাশনাল পলিটিক্স করিনি, করেছি লোকাল পলিটিক্স। আমি ডেমক্র্যাটিক পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে গিয়েই আমার সাথে শেখ রহমানের পরিচয় হয়। তিনিই একমাত্র বাংলাদেশী যিনি ডেমক্র্যাটিক পার্টির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তিনি আমাকে আকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। বাংলাদেশীরা আমাকে কংগ্রেসম্যান বানিয়েছেন, আর শেখ রহমানরা আমাকে ডেমক্র্যাটিক পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কারণে আমেরিকার ভাবমূর্তি হুমকির সম্মুখীন। মুসলমানরা ভীতি সন্ত্রস্ত, ইমিগ্র্যান্ট কম্যুনিটি আতংকিত, ৯ হাজার নেপালি হুমকির মুখে। যারা ভূমিকম্পের পর আমেরিকায় এসেছিলো। আমাদের কারণেই মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় আসা ব্যান্ড করতে পারেনি। তিনি বলেন, আমেরিকায় সকল মানুষের অধিকার সমান। সেই অধিকার রক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইতোমধ্যেই আমরা নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলে দুই ঈদে ছুটির ব্যবস্থা করেছি, হালাল ফুডের জন্য কাজ করছি। তিনি আরো বলেন, গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমাদের ডেমক্র্যাটিক পার্টির অনেক ভুল ছিলো। আমরা সবার কাছে পৌঁছাতে পারিনি। যে কারণে আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। গত কয়েক নির্বাচনে রিপাবলিকরা আমাদের অনেক আসন নিয়ে গেছে, আমাদের সেই সব আসন ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ট্রাম্পের হাত থেকে আমেরিকাকে রক্ষা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সময় এসেছে টেবিলে যাবার, মেনুতে নয়। তিনি শেখ রহমানকে নির্বাচিত করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান।
ডেমক্র্যাটিক পার্টিতে একমাত্র বাংলাদেশী সুপার ডেলিগেট শেখ রহমান সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি এ দেশে এসেছি প্রায় ৩৭ বছর আগে। এসেই ডিস ওয়াসার হিসাবে কাজ করেছি। ডিস ওয়াসার থেকে স্টোরের মালিক হয়েছি, হোমলেস থেকে হোমের মালিক হয়েছি। এই দেশে সব কিছুই অর্জন করা সম্ভব, তবে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের উচিত নতুন প্রজন্মকে পথ দেখানো, সেই কাজটি আমরা করে যাচ্ছি। তিনি মহিলাদেরও মূলধারার রাজনীতিকে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত । তিনি বলেন, আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে সফলতা আসবে এবং ট্রাম্পের দুঃশাসন থেকে আমেরিকাকে রক্ষা করতে হবে।