সিনেট-কংগ্রেসেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই?

রিপাবলিকানের গভর্নর ৮, ডেমোক্র্যাটের ৩

ঠিকানা রিপোর্ট : প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসেও চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে সিনেটে কিছুটা এগিয়ে আছে রিপাবলিকান পার্টি, আর প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটরা। তবে গভর্নর পদের নির্বাচনে দাপটের সাথে জয় পেয়েছে রিপাবলিকানরা। ১১টি রাজ্যের মধ্যে ৮টিতে জিতেছে রিপাবলিকানরা। আর মাত্র ৩টি গভর্নও পদ পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা।
পাওয়া পর্যন্ত ৩৫টি সিনেট আসনের ২২টিতে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থীরা। তারা ইতিমধ্যে জয় পেয়েছেন ১৭টিতে। সিনেটে এখন তাদের আসন ৪৮। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা এগিয়ে আছেন ১৩টি আসনে। তারা ইতিমধ্যে জয় পেয়েছেন ১১টিতে। তাদের সিনেট আসন সংখ্যাও এখন ৪৭টি। বাকি আসনগুলোর মধ্যে রিপাবলিকানরা এগিয়ে রয়েছেন ৬টিতে, আর ডেমোক্র্যাটরা ২টিতে।
১০০ আসনের সিনেটে অন্তত ৫১টিতে জয়ী হলে নিশ্চিত হবে কোনো দলের নিয়ন্ত্রণ।
এদিকে প্রতিনিধি পরিষদ বা হাউসে ডেমোক্র্যাটদের অবস্থা কিছুটা ভালো। ৫০টি রাজ্যের মোট ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে ১৯৪টি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। অন্যদিকে তাদের কাছাকাছি ১৮৫টি আসন পেয়েছেন রিপাবলিকানরা। হাউস বা প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে অন্তত ২১৮টি আসনের দরকার হবে।
এতদিন প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল ডেমোক্র্যাটদের। এখনো তারা সেখানে এগিয়ে আছেন। যদিও সামান্য ব্যবধানের এ এগিয়ে থাকাকে জয়-পরাজয় নিশ্চিত করার মাপকাঠি বলা যায় না।
অন্যদিকে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল রিপাবলিকানদের। সেখানে ৪৭-৫৩ ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল তাদের। পাশাপাশি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের ট্রাইব্রেকার ভোটও ছিল।
এ কারণে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে বাইডেন জয়ী হলে ডেমোক্র্যাটদের লাগবে আরও ৩টি আসন। আর বাইডেন হেরে গেলে লাগবে চারটি আসন।
৩৫টি সিনেট আসনের মধ্যে রিপাবলিকানরা যে ২২টিতে এগিয়ে আছেন সেগুলো হলো আলাবামা (টমি টিউবার্ভিল), আরকানসাস (টম কটন), আইডাহো (জিম রিচ), আইওয়া (জোনি আর্নস্ট), কানসাস (রজার মার্শাল), কেন্টাকি (মিচ ম্যাককনেল), লুইসিয়ানা (বিল ক্যাসিডি), মিসিসিপি (সিন্ডি হাইড-স্মিথ), মন্টানা (স্টিভ ডেইনস), নেব্রাস্কা (বেন স্যাসে), ওকলাহোমা (জিম ইনহোফ), সাউথ ক্যারোলিনা (লিন্ডসে গ্রাহাম), সাউথ ডাকোটা (মাইক রাউন্ডস), টেনেসি (বিল হাগের্টি), টেক্সাস (জন কর্নিন), ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া (শেলি মুর ক্যাপিটো), ওয়াইমিং (সিন্থিয়া লুম্মিস), অ্যারিজোনা (মার্ক কেলি), মেইন (সুসান কলিন্স), মিশিগান (জন জেমস), নর্থ ক্যারোলিনা (থম টিলিস), জর্জিয়া (ডেভিড পেরডু) ও আলাস্কা (ড্যান সুলিভান)।
অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর প্রার্থীরা যে ১৩টি আসনে এগিয়ে আছেন সেগুলো হলো : কলোরাডো (জন হিকেনলুপার), ডেলাওয়ার (ক্রিস কুনস), ইলিনয় (ডিক ডুরবিন), ম্যাসাচুসেটস (এড মার্কি), মিনেসোটা (টিনা স্মিথ), নিউ হ্যাম্পশায়ার (জিনে শাহিন), নিউজার্সি (কোরি বুকার), নিউ মেক্সিকো (বেন রে লুজান), অরেগন (জেফ মের্কলে), রোড আইল্যান্ড (জ্যাক রিড), কলোরাডো (জন হিকেনলুপার) ও অ্যারিজোনা (মার্ক কেলি)।
রিপাবলিকানের ৮ গভর্নর, ডেমোক্র্যাটদের ৩ : ১১ রাজ্যের গভর্নর পদে নির্বাচনেও রিপাবলিকানরা বেশ আয়েশেই বেশির ভাগ আসনে জয় পেয়েছে। এর মধ্যে ৮টিতে তারা জিতেছে। আর মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছে ডেমোক্র্যাট দল।
গভর্নর পদে রিপাবলিকান দল যে ৮টিতে বিজয় পেয়েছে সেগুলো হলো : ইন্ডিয়ানা (এরিক হলকম্ব), মিসৌরি (মাইক পার্সন), মন্টানা (গ্রেগ জিয়ানফোর্ট), নর্থ ডাকোটা (ডগ বারগুম), ইউটা (ডগ বারগুম), ভার্মন্ট (ফিল স্কট), ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া (জিম জাস্টিস) ও নিউ হ্যাম্পশায়ার (ক্রিস সুনুনু )।
আর ডেমোক্র্যাটরা যে তিনটিতে জিতেছেন সেগুলো হলো : ডেলাওয়ার (জন কারনে ), নর্থ ক্যারোলিনা (রায় কুপার) ও ওয়াশিংটন (জে ইনস্লি)।
এ ছাড়া টেরিটরিজ আমেরিকান সামোয়া এবং পুয়ের্তো রিকোয়ও গভর্নর পদে নির্বাচন হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত এ দুটি টেরিটরির ফলাফল জানা যায়নি।