ঠিকানা অনলাইন : সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর বাসার সামনে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের সরকারদলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান।
আফতাব ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলরও। আফতাবের নেতৃত্বে ৫-৬টি মোটরসাইকেলে একদল যুবক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাঈদ আবদুল্লাহর বাসার সামনে গিয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়া দেয়। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া এই মহড়ার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তোলপাড় হচ্ছে সিলেটে। প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেও এ নিয়ে হুলুস্থুল চলছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ভিডিও ফুটেজে যাদেরকে দেখা যাচ্ছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে কেউ ছাড় পাবেন না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সশস্ত্র ওই মহড়ার ঘটনাটি গত মঙ্গলবারের। তবে এর ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নগরীর সুবিদবাজারের দিঘিরপাড়ের ১৩ নম্বর বাসার সামনে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছেন একদল মোটরসাইকেল আরোহী যুবক। ওই বাসাটি কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আবদুল্লাহর।
বাসার মূল ফটকে গিয়ে ওই যুবকরা অস্ত্র উঁচিয়ে প্রদর্শন করছেন এবং বারবার মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে সেখানে মহড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘গত মঙ্গলবার ভোরে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আফতাব হোসেন খানসহ তার অনুসারীরা আমার বাসার সামনে এসে অস্ত্র তাক করে মহড়া দেয়। বৃহস্পতিবার লোকমুখে ঘটনা জেনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হই। এরপর ঘটনাটি আমি মোবাইল ফোনে মৌখিকভাবে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করি। বৃহস্পতিবার রাতেও তারা অনেকগুলো মোটরসাইকেলযোগে আমার বাসার সামনে এসে শক্তি প্রদর্শন করে। এতে আমি আতঙ্কিত।’
একটি সূত্র জানায়, আফতাবের নেতৃত্বে ওই মহড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রুহিন, ৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, অস্ত্র মামলায় ২ বছর কারাভোগ শেষে বের হওয়া আবুল কালাম আজাদ তুহিনসহ তাদের অনুসারীরা ছিল।
সশস্ত্র মহড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আফতাব হোসেন খান বলেন, ‘প্রার্থী হিসেবে আমি প্রতিদিনই অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। অস্ত্র প্রদর্শনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর কেউ করে থাকলে সেটা আমার জানা নেই।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘সন্ত্রাস-অপরাধ করে কেউ রক্ষা পাবে না। ভিডিও ফুটেজে যাদেরকে দেখা গেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’
ঠিকানা/এনআই