সুপারসাইক্লোনে রূপ নিল মোখা

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষকদের ধারণাই সত্যি হলো। শেষ পর্যন্ত সুপারসাইক্লোনে পরিণত হলো মোখা। শনিবার (১৩ মে) রাত নয়টায় অতি প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি সুপারসাইক্লোনে রূপ নিয়েছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার।

মার্কিন ন্যাভাল ওশানোলজি পোর্টালের বরাতে ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

এর আগের এক পূর্বাভাসে তিনি জানিয়েছিলেন, রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রবর্তী অংশ সেনমার্টিন দ্বীপে আঘাত হানতে শুরু করবে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার শঙ্কা নেই বলে দাবি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৩ মে) দিবাগত রাত আড়াইটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরে ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, সুপার সাইক্লোন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বাইরের কোন সংস্থা কী বলছে, আমরা তা আমলে নিচ্ছি না।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগকে আমরা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বলছি। ২২০ কিলোমিটার গতিতে গেলে তখন সেটিকে সুপার সাইক্লোন বলা যাবে।

তিনি জানান, এই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব উপকূলীয় এলাকায় পড়তে শুরু করেছে। এটি রোববার (১৪ মে) সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করবে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

ঠিকানা/এনআই