সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পূজারী ছিলেন : পীর হাবিবুর রহমান

নিউইয়র্ক : গত ১৩ মে রোববার সন্ধ্যা ৭টায় জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজা মিলনায়তনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবদান শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক রুহেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সংগঠনের সদস্য সচিব সুব্রত তালুকদারের পরিচালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান। পীর হাবিবুর রহমান বলেন সারা বাংলাদেশ আজ সুযোগ্য নেতৃত্বের শূন্যতায় ভুগছে। আর সেই শূন্যতায় আমারা বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অভাব অনুভব করছি। তিনি দুঃখের সাথে বলেন, শুধু সিলেট বাসী নয় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংসদ আজীবন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে মনে রাখবে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একজন সাহসী ও সৎ রাজনীতিবিদ এবং গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পূজারি ছিলেন। বাঙালি জাতিকে আরেকটি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত উপহার দেওয়া বড়ই কঠিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল চৌধুরী বলেন, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত কোন দিনও নীতি ও আদর্শের সাথে আপোষ করেন নি। তিনি বলেন বাংলাদেশের সামরিক শাসন আমলে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে তৎকালীন সামরিক সরকার তাদের মন্ত্রী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়ার জন্য অনুরোধ কররলে তিনি ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা ও জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হুসেন খান, সাংবাদিক সুব্রত বিশ্বাস, উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা আব্দুর রহিম বাদশা, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, আবু তাহের, এম. সি. কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জি.এস. সাখাওয়াত আলী, সুনামগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক অসিত চৌধুরী, কবি ইশতিয়াক হোসেন রুপু, ওবায়দুল্লাহ মামুন প্রমূখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।