সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘অংশগ্রহণের বিষয়ে ইসি কোনো উদ্যোগ নেবে না। রাজনৈতিক ইস্যু রাজনৈতিকভাবে নিরসন করা উচিত। অবশ্য কোনো রাজনৈতিক দল এ ব্যাপারে সহযোগিতা চাইলে ইসির দরজা খোলা রয়েছে।’

১২ মার্চ রোববার বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এক ঘণ্টার বেশি সময় সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ের এবং সিইসি।

সাক্ষাৎ শেষে হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ের সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে খুব সুন্দর মতবিনিময় করেছি। সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করেছি।’

অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।’

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকমিশনার স্পষ্ট করে বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং ফ্রুটফুল হবে, এটা ওনাদের প্রত্যাশা।’

হাবিবুল আউয়াল জানান, নির্বাচন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের কাছে ইসির প্রস্তুতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিনিধিদলের কাছে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক, এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছে ইসি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বের মধ্যে ওনারা (অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদল) জানতে চেয়েছেন, আমরা দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করতে পারি কি না। আমরা বলেছি সেটা আমাদের দায়িত্বের পরিধিভুক্ত নয়। তবে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে বারবার বলে যাচ্ছি যে নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই এটার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হবে। সেই লক্ষ্যে আগেও দলগুলোকে আহ্বান করেছি, এখনো করে যাচ্ছি আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমে।’

সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করব, নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। আমরা সবার কাছে আবেদন করব, আপনারা আমাদের ওপর আস্থা রাখুন এবং দেখুন নির্বাচনটা কেমন হয়। আর যদি সকল দল অংশগ্রহণ করে, আমরা নিশ্চিত নির্বাচনের ফলাফলটা অনেক বেশি ভালো, অনেক বেশি ইতিবাচক এবং জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, অংশগ্রহণের বিষয়ে ইসি কোনো উদ্যোগ নেবে না। এটা রাজনৈতিক ইস্যু। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি সেই রকম কোনো সংকট থেকে থাকে, সেই সংকটটা তারা আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করবে।

সিইসি বলেন, ‘আমরা কিন্তু মাঝখানে ব্রোকারেজ করব না, করতে পারব না। কিন্তু আমরা এভাবে ওপেনলি আহ্বান করে যাব।’

দরজা খোলা জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের দরজা খোলা আছে, কোনো পার্টি যদি এসে সহযোগিতা কামনা করতে চায়, আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি আমাদের তরফ থেকে যেসব সহযোগিতা প্রদান করা দরকার, সেগুলো আমরা করে যেতে পারব।’

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) ও ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে সফররত অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়ার সহকারী সচিব (প্রথম) গেরি কোওয়ান, হাইকমিশনের উপপ্রধান নার্দিয়া সিম্পসন ও সহকারী পরিচালক এলিস হেইনিঙ্গার।

ঠিকানা/এনআই