ঠিকানা রিপোর্ট : বায়ু খেলে পেট ভরেনা; কিন্তু ভুক্ত খাদ্য হজম করতে হলে বায়ু সেবন ছাড়া চলেনা। ঠিক তেমনি সুস্থ-কর্মক্ষম ও দীর্ঘ জীবন লাভ করতে হলে মানব জীবনে সর্বনি¤œ ৬ ঘন্টা এবং সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। তবে দিবসে নিদ্রা যাওয়া কোনক্রমেই স্বাস্থ্যসম্মত নয় বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ জানিয়েছেন। আবার নিয়মিত অনিদ্রা, অধিক রাতে নিদ্রা যাওয়া ও বিলম্বে শয্যাত্যাগ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং নানা রোগ জন্মানোর ঝুঁকি বাড়ায়। সম্প্রতি আমেরিকার শিকাগোর নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ক্রিস্টেন কুস্টন ও ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সারের ম্যালকম ভ্যান শান্টজ যৌথভাবে গবেষণায় দেখতে পান যে গভীর ও নিয়মিত নিদ্রা মানুষের সুস্বাস্থ্য বজায়ে সহযোগিতা ছাড়াও দীর্ঘায়ু লাভে কাজে আসে। ব্রিটেনে ৪৩ সহ¯্রাধিক লোকের ওপর সাড়ে ৬ বছর ধরে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে অধিক রাতে ঘুমানো লোকেরা অন্যদের চেয়ে কম বাঁচে। অন্যদিকে তাদের মৃত্যুর হারও স্বাভাবিকভাবে নিদ্রা যাওয়া লোকদের চেয়ে ১০% বেশি। সকালে শয্যাগমন ও সাত সকালে শয্যাত্যাগকারীরা অনিদ্রায় ভোগা লোকদের চেয়ে রোগ-ব্যাধিতে কম আক্রান্ত হন। আরেক গবেষক কুস্টন জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ডাটাবেজ থেকে ৩৮ থেকে ৭৩ বছর বয়সী ৪ লাখ ৩০ হাজার লোকের তথ্য সংগ্রহ করে দেখতে পান যে তাদের ২৭ % ভোরে শয্যা ত্যাগ করেন, ৩৫% রাতের চেয়ে সকালের কাজের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেন, ২৮ শতাংশ সকালের চেয়ে রাতকে প্রাধান্য দেন এবং ৯ শতাংশ নিয়মিত রাত জাগেন ও সকালে অলস নিদ্রায় সময় কাটান। গবেষকগণ দেখতে পান যে গবেষণাকার্য পরিচালনাকালে সাড়ে ১০ লোক মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে রাতজাগাদের হার অন্যদের চেয়ে দশ শতাংশ বেশি। তাই সকাল সকাল শয্যাগ্রহণ এবং সকালে শয্যাত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকগণ।
- বিজ্ঞাপন -