
ঠিকানা অনলাইন : ঢাকার আদালত চত্বর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি এখনো দেশে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
৮ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে গত শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফাতেমা তাসনীম শিখা এবং তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি।
সিটিটিসি বলছে, ওই দুই জঙ্গিকে ছয় মাসের পরিকল্পনায় আদালত চত্বর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং পরিকল্পনার তথ্য জেলে থাকা জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দেন ফাতেমা তাসনীম শিখা। তিনি আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির একজন আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী এবং জঙ্গি ছিনতাইকাণ্ডের ‘প্রধান সমন্বয়ক’।
পলাতক দুই জঙ্গি এখনো দেশে আছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ছাড়া শিখাকে গ্রেপ্তারের আগে আমরা পরিকল্পনা ও পালিয়ে যাওয়ার বিস্তারিত তথ্য জানতে পারছিলাম না। তাকে গ্রেপ্তারের পর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সবকিছু জানতে পেরেছি। এ ছাড়া জঙ্গিরা কোন দিক দিয়ে পালিয়েছে, তাও জানতে পেরেছি।’
আদালত থেকে জঙ্গিরা সদরঘাট হয়ে একটি শেল্টার হাউসে অবস্থান করে। সেখান থেকে অন্যত্র পালিয়ে যায়। আর আদালত চত্বর থেকে শিখাসহ অন্যরা বিকল্প রাস্তা দিয়ে এলাকা ছাড়ে বলে জানান মো. আসাদুজ্জামান।
গত বছরের ২০ নভেম্বর দুপুরে পুরান ঢাকার জনাকীর্ণ আদালত এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে স্প্রে নিক্ষেপ করে মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় সহযোগী জঙ্গিরা।
এই দুজনই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নেতা। পাশাপাশি তারা প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলাতেও আবু সিদ্দিকের ফাঁসির রায় হয়েছে।
ওই ঘটনায় সহযোগী বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। পলাতক দুজনের মধ্যে সোহেলের স্ত্রী শিখাকে শুক্রবার গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। তবে প্রায় পাঁচ মাস ধরে ওই দুই জঙ্গি পলাতক।
ঠিকানা/এনআই