সৌদি আরবে যেমন আছেন রোনালদো

ঠিকানা অনলাইন : কাতার বিশ্বকাপের মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে চুক্তি বাতিল করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফ্রি এজেন্টে থাকা সিআরসেভেনের সঙ্গে আড়াই বছরের জন্য চুক্তি করে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসের। ওই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর তিনি ক্লাব থেকে ২০৭ মিলিয়ন ডলার আয় করবেন। বাংলাদেশের হিসেবে যা প্রায় দুই হাজার ১৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

এই চুক্তি রোনালদোকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে। তবে সৌদি আরবে গিয়ে বান্ধবী জর্জিনো রদ্রিগেজকে নিয়ে অস্বস্তির মধ্যে ছিলেন পর্তুগিজ তারকা। কারণ, ইসলামী শরিয়াহ আইনে পরিচালিত সৌদি আরবে বিয়ে ছাড়া নারী-পুরুষ এক ঘরে থাকা নিষিদ্ধ। তবে রোনালদোর জন্য সেই আইন শিথিল করেছে সৌদি সরকার। রোনালদো ও জর্জিনা বিয়ে না করেও সৌদি আরবে একসঙ্গে থাকতে পারবেন।

এদিকে সৌদিতে কোথায় থাকবেন পর্তুগিজ তারকা তা নিয়েও জল্পনা কল্পনা ছিল সমর্থকদের। যদিও সেই চিন্তা দূর করে দিয়েছে রোনালদোর ক্লাব আল নাসর। রোনালদো-জর্জিনা দম্পতি সৌদি আরবে সবচেয়ে বিলাসবহুল ফোর সিজনস হোটেলে থাকছেন, যা দেশটির সর্বোচ্চ দালানও। রিয়াদের ওই হোটেলের ১৭টি রুমে রোনালদোর পরিবার, বন্ধু ও নিরাপত্তারক্ষীরা থাকছেন। পাকাপাকিভাবে সেখানে বাড়ি না পাওয়া পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ পাউন্ড হোটেল বিল মেটাতে হতে পারে রোনালদোর ক্লাব আল নাসরকে।

সৌদির রাজপরিবারের কেউ যদি হোটেলে উঠতে চান তাহলে তারা এই হোটেলেই উঠেন। ৯৯ তলা উঁচু প্রাসাদসম হোটেলের ৫০তলায় দুটি ফ্লোর রয়্যাল স্যুট রোনালদোর জন্য নেওয়া হয়েছে। কি নেই সেখানে। ১৭টি রুমের পাশাপাশি আছে ব্যক্তিগত লিভিং রুম, অফিস রুম, মিডিয়া রুম, স্টাডি রুম, সুইমিংপুল, টেনিস কোর্ট, বিলিয়ার্ড স্টোর, সিনেমা হল, জিমনেসিয়াম, সনা বাথ, ম্যাসাজ রুমসহ সব সুযোগ-সুবিধা।

আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া স্প্যানিশ মডেল বান্ধবী জর্জিনা গরু এবং ভেড়ার মাংস পছন্দ করেন সেটিও থাকবে। বাচ্চারা কী খাবার খাবে সেটিও রাখা হবে। রোনালদোর পরিবারের কথা ভেবে এমনভাবে রাখা হয়েছে যেন এটি ব্যক্তিগত হোটেল। এছাড়া নিজেরা রান্না করে কোনো কিছু খেতে চাইলে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক রান্না ঘরের ব্যবস্থা। ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করতে চাইলে সেটিও করা যাবে।

ঠিকানা/এম