
বিশ্বচরাচর ডেস্ক : সৌদি আরবের রাজনৈতিক সংস্কারের নেপথ্যে ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের পছন্দের লোককে সৌদি আরবের শীর্ষে বসিয়েছি।’ ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে প্রথম বছর শুরুর কয়েক মাসের মাথায় সৌদি আরবের রাজনীতিতে অস্থিরতা দেখা দেয়। ২০১৭ সালের জুনে বাদশাহ সালমানের পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমান যুবরাজ হিসেবে অভিষিক্ত হন। এ ঘটনার পেছনে ছিলেন ট্রাম্প ও তার প্রশাসন। মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল ওলফের লেখা ‘ফায়ার অ্যান্ড ফারি : ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ’ শীর্ষক বইয়ে ট্রাম্পের সহযোগী ও বন্ধুদের বরাত দিয়ে এ দাবি করা হয়েছে।
বাদশাহ সালমান তার ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে ভবিষ্যৎ বাদশাহ হিসেবে তার ছেলের জন্য পথ পরিষ্কার করতে যুবরাজ হিসেবে পুত্র সালমানকে অভিষিক্ত করেন। সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভঙ্গ করায় এ নিয়ে সৌদি বাদশাহিতে অস্থিরতা তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিন সালমান সৌদি আরবের কট্টর ধর্মীয় শাসন ও সমাজ ব্যবস্থায় সংস্কারের পক্ষে। মধ্যপন্থী ইসলামের দেশে রূপান্তর করে সৌদি আরবকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে থাকেন তিনি। সৌদি আরবের রাজনীতিতে বিন সালমানের উত্থানসহ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র বিষয়ে ট্রাম্প এবং তার সহযোগীদের নিয়ে একগুচ্ছ বিতর্কিত তথ্য উঠে এসেছে মাইকেল ওলফের বইয়ে। তবে বইটিকে মিথ্যায় পরিপূর্ণ বলে দাবি করেন ট্রাম্প।
এ দিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি নিজেকে ট্রাম্পের উত্তরসূরি ভাবেন বলে ওলফের বইয়ে দাবি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের সহযোগীদের মধ্যে হ্যালি সবচেয়ে বেশি উচ্চাকাক্সক্ষী ও ট্রাম্পের চেয়ে বেশি স্মার্ট। কিন্তু তার অন্যান্য সহযোগী ট্রাম্পীয় চিন্তাভাবনা রক্ষায় বেশি মনোযোগী। বইটির অংশবিশেষ নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে লেখক দাবি করেন, ২০১৭ সালের অক্টোবরে হ্যালি সিদ্ধান্ত নেন যে, ‘ট্রাম্পের শাসনকাল মোটের ওপর এক মেয়াদ টিকবে এবং এরপর তিনিই হবেন তার উত্তরসূরি। ওলফ লেখেন, সাউথ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর ও শিখ বাবা-মায়ের সন্তান নিকি হ্যালি হোয়াইট হাউজের প্রথম বছরে ট্রাম্পকন্যা ইভাংকার বন্ধু হয়ে ওঠেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সন্নিধ্যে আসেন। বইটিতে আরও দাবি করা হয়েছে, ইভাংকা ও তার স্বামী জ্যারেড কুশনার রুশ সংযোগ নিয়ে বিশেষ কাউন্সেলর রবার্ট মুলারের তদন্ত নিয়ে বেশ শঙ্কিত রয়েছেন। হোয়াইট হাউজের সাবেক প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননের রবাতে ওলফের ওই বইয়ে এ দাবি করা হয়েছে। কারণ হিসেবে ব্যানন বলেন, রুশ সংযোগ তদন্তের সময় মুলার তাদের অর্থনৈতিক গুমর ফাঁস করে দিতে পারেন। ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতার প্রথম দিকে কুশনারের সম্পদের উৎস নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছিল।