বিশ্বচরাচর ডেস্ক : ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর নিখোঁজ হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নিয়ে তুরস্ক নীরব থাকতে পারে না বলেন মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, তুরস্ক সব দিক থেকেই ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। খাশোগি ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেট থেকে বেরিয়েছিলেন তার প্রমাণ দিয়ে সৌদি আরবকে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশেরও আহ্বান জানিয়েছেন এরদোগান।
কনস্যুলেট ভবনে কোনো ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে না, এমনটি হওয়া আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। খাশোগি গত ২ অক্টোবর তার প্রেমিকাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর আর বের হননি।
সৌদি আরব বলছে, কিছুক্ষণ পরই খাশোগি বেরিয়ে যান। কিন্তু বাইরে থাকা খাশোগির প্রেমিকা ও তুর্কি কর্মকর্তারা বলছেন, তিনি আর বেরিয়ে আসেননি। তুরস্ক বলছে, খাশোগিকে সৌদি কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে হত্যা করার পর তার লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রিয়াদ এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
এরদোগান বলেন, এমন একটি ঘটনার পর আমাদের পক্ষে নিশ্চুপ থাকা সম্ভব নয়। কারণ ঘটনাটি সাধারণ কোনো ব্যাপার নয়। সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ খাশোগির কনস্যুলেট ভবন ত্যাগের ছবি নেই বলে জানিয়েছে। তারা বলেছে, কনস্যুলেটের ক্যামেরায় শুধু লাইভ ফুটেজ দেখা যায় এর কোনো রেকর্ড থাকে না।
সৌদি আরবের এ যুক্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলে এরদোগান বলেন, সৌদি আরবের কনস্যুলেট ভবনে কোনো ক্যামেরা সিস্টেম থাকবে না সেটি কি করে সম্ভব? তুরস্কের কয়েকটি গণমাধ্যম এর আগে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করেছে, এসব ভিডিওতে নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নিয়ে চক্রান্তের প্রমাণ আছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সন্দেহভাজন কয়েকজন সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা ইস্তানবুলের বিমানবন্দর দিয়ে তুরস্কে ঢুকছেন ও বেরিয়ে যাচ্ছেন।
তুরস্কের সাবাহ পত্রিকার খবরে বলা হয়, তারা খাশোগির অন্তর্ধানের ঘটনায় জড়িত একটি গোয়েন্দা টিমের ১৫ সদস্যকে চিহ্নিত করেছে।