
মোহাম্মদ এন মজুমদার
স্টুডেন্ট ভিসা বা F-1 ভিসা পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তি ও শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে জ্ঞানার্জনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা এ সুযোগ গ্রহণ করে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আগত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কিছু সংখ্যক স্কলারশিপের ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ খরচে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়।
মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীগণ যারা ইংরেজি ভালো জ্ঞানসম্পন্ন বা টোফেল গ্রহণের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষালাভের সম্ভাবনা থাকে, যাদের যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করার মতো অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা রয়েছে এবং ব্যাংক স্টেটম্যান্ট এর মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত গ্রিনকার্ডধারী অথবা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কর্তৃক অর্থনৈতিক স্পন্সর করতে সক্ষম হয় তারা অর্থনৈতিকভাবে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
আবেদনকারীকে সর্বপ্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ও-২০ সংগ্রহ করতে হয়। ও-২০ সংগ্রহ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ছাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ শিক্ষা নিতে চান সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য, শিক্ষার সময় বাৎসরিক খরচ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ওই শিক্ষার্থীকে ভর্তিতে সম্মত থাকে।
সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীগণ যখন ও-২০ পান, উক্ত ও-২০ সংগ্রহ ইমিগ্রেশন বিভাগে দাখিল করতে হয়।
আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রে ভিজিট কিংবা অন্যকোন ট্রান্সফারযোগ্য ভিসায় অবস্থানকালে ও-২০ পেয়ে থাকলে সেই ক্ষেত্রে টঝ ইমিগ্রেশন ও-৫৩৯ বা স্ট্যাটাস পরিবর্তনের আবেদন করতে পারেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালেই স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন। তবে, ও-২০ এবং ও-৫৩৯ এর সাথে অন্যান্য ফাইনান্সিয়াল ডকুমেন্টসমূহ দাখিল করতে হয়।
আবার আবেদনকারী বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোনো রাষ্ট্র থেকে আবেদন দাখিল করলে সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে ভিসার আবেদন করতে পারেন। কনস্যুলেট আবেদনকারীর একাডেমিক ও ফাইনান্সিয়াল ডকুমেন্ট তথা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করে যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনকারী একজন প্রকৃতপক্ষে ছাত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করার মতো সকল যোগ্যতার অধিকারী, তখন বাংলাদেশ বা সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত টঝ ঊসনধংংু ওই ডকুমেন্ট ভিসাপ্রার্থীকে ভিসা দিতে পারেন। স্টুডেন্ট ভিসা এবং ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত মৌখিক তথ্যের জন্য কল দিতে পারেন এন মজুমদার ৯১৭-৫৯৭-৬৩৪৯ অথবা ১-৮০০-৩৭৫-৫২৮৩
লেখক পরিচিতি : এই প্রবন্ধটির লেখক মোহাম্মদ এন মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং নিউইয়র্কস্থ টরো ল সেন্টার থেকে আইনে এলএলএম ডিগ্রিধারী, তিনি নিউইয়র্কস্থ একটি ল ফার্মে ১৯৯৯ সাল থেকে কর্মরত আছেন। এ ছাড়াও তিনি নিউইয়র্কের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকা-ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি ব্রঙ্কস প্লানিং বোর্ড-৯ এর সদস্য ফাস্ট ভাইস চেয়ারম্যান এবং ল্যান্ড এন্ড জোনিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯১০ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপরোক্ত লিখাটি লেখকের সুদীর্ঘকালের ল ফার্মে কর্ম অভিজ্ঞতা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ল স্কুলের শিক্ষা থেকেই লিখা। এটিকে লিগ্যাল এডভাইজ হিসেবে গ্রহণ না করে আপনাদের নিজ নিজ আইনজীবীর সহযোগিতা নিন।