ঠিকানা রিপোর্ট : যারা স্টুডেন্ট লোন নিয়েছেন, তাদের পেমেন্ট পজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩১ ডিসেম্বর পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী। জানুয়ারি মাস থেকে লোনের অর্থ পরিশোধ করার সময় শুরুর কথা ছিল। আপাতত তা হচ্ছে না। এর মেয়াদ বেড়েছে ৩০ জুন পর্যন্ত। বাইডেন প্রশাসনের পেল গ্র্যান্টপ্রাপ্তদের জন্য ২০ হাজার এবং অন্যদের জন্য ১০ হাজার ডলার করে স্টুডেন্ট লোনের অর্থ মওকুফ করার কথা ছিল। এ-সংক্রান্ত মামলা হওয়ায় আদালতে বিষয়টি আটকে যাওয়ার কারণে লোন মওকুফের বিষয়টি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের পক্ষে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। ফলে স্টুডেন্ট লোনগ্রহীতাদের মধ্যে যারা লোন মওকুফের যোগ্য, তারা আবেদন করার পরও লোন মওকুফ পাননি। আবার অনেকে আবেদনই করতে পারেননি। ফলে এ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করেই বাইডেন প্রশাসন ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন স্টুডেন্ট পেমেন্ট পজের মেয়াদ বাড়ায় এবং ১ জানুয়ারির পর যে লোন পরিশোধ করার কথা ছিল, তা স্থগিত করে।
ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন মামলার কারণে লোন মওকুফ করতে না পারার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছে, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনকে ঋণ ত্রাণ/ ঋণ মওকুফ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অনুমতি না দেওয়া বা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্টুডেন্ট ঋণ পরিশোধের বিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়। পেমেন্ট ৬০ দিন পরে পুনরায় চালু হবে।
যদি ঋণ ত্রাণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত না হয় এবং ৩০ জুন ২০২৩ এর মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি না করা হয়, তার ৬০ দিন পরে অর্থ প্রদান আবার শুরু হবে। পেমেন্ট পুনরায় শুরু করার আগে আমরা ঋণগ্রহীতাদের অবহিত করব।
ফলে এখন স্টুডেন্ট লোনগ্রহীতাদের মধ্যে যারা লোন মওকুফ পাওয়ার যোগ্য, তারা অপেক্ষা করছেন আগামী ৩০ জুনের পর কী হয়, তা জানার জন্য। এদিকে স্টুডেন্ট লোন মওকুফের জন্য ইনকামের সীমা ছিল ম্যারিড ফাইলিং জয়েন্টলি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সিঙ্গেল ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। যারা পেল গ্র্যান্ট পেয়েছেন, তারা মওকুফ পাবেন ২০ হাজার ডলার। যারা পেল গ্র্যান্ট পাননি, কিন্তু লোন নিয়েছিলেন তারা পাবেন ১০ হাজার ডলার। এ জন্য প্রথমে একটি পরীক্ষামূলক আবেদন ও পরে আরেকটি চূড়ান্ত আবেদন আহ্বান করা হয়। অনেকেই আবেদন করেছেন। আবেদন করার পর যাদের সব তথ্য ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের কাছে ছিল, তাদেরকে তার লোন মওকুফ আবেদন অনুমোদন হয়েছে এবং লোন সার্ভিসারের কাছে তারা সেটি প্রক্রিয়া করার জন্য পাঠিয়েছে বলে ইমেইলও পাঠায়। আবার অনেকেই আছেন, যারা অপেক্ষা করছিলেন আবেদন করার। আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে এ-সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে এখন কেউ চাইলেও আর নতুন করে লোন মওকুফের আবেদন করতে পারছেন না।