স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে দেশের মানুষ

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ

নিউইয়র্ক : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সভায় নেতৃবৃন্দ।

ঠিকানা রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষা করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হোন। স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটাতে দেশের আপামর জনতাও আজ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
৮ নভেম্বর মঙ্গবার রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে জুইশ সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যানারে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল।
সভায় গেস্ট অফ অনার ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মিল্টন, কাজী আজম ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়ার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু।
সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মী অংশ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের চলমান স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিভাজন এবং অভ্যন্তরীন মতপার্থক্য ভুলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক শীর্ষ নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করেন।
বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে দেশের টার্নিং পয়েন্ট উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহী-জনতার মিলিত ঐক্যের এই বিপ্লব দেশ ও জাতিকে অনাকাক্সিক্ষত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব সেই বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।
সরকারের দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষা করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে সবাইকে যোগ দেবার আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। শুধু বিএনপি নয় দেশের আপামর জনতাকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচার শাসনের অবসান ঘটাতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার পতনের আন্দোলনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সোচ্চার হবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার, কামাল সাঈদ মোহন, শরাফত হোসেন বাবু, আবদুস সবুর, অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন জনি, আনোয়ার হোসেন, মনজুর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা বাবর উদ্দিন, নিয়াজ আহম্মেদ জুয়েল, নুর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সরকার, আনোয়ারুল ইসলাম, ফারুক হোসেন মজুমদার, পারভেজ সাজ্জাদ, জহির মোল্লা, মোশাররফ হোসেন সবুজ, এম এ বাতিন, আবু সাঈদ আহমেদ, মাকসুদুল হক চৌধুরী, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, আতিকুল আহাদ, সাইফুর খান হারুন এবং মাজহারুল ইসলাম জনি।