হংকংকে ১৫৫ রানে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : ১৫৫ রান, টি-টোয়েন্টিতে একে গড়পড়তা মানের স্কোরই বলা চলে। তবে এই ব্যবধানে হংকংয়ের বিপক্ষে জিতেছে পাকিস্তান। ২ সেপ্টেম্বর বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ১৯৩ রানের পুঁজি পাওয়ার পর প্রতিপক্ষ হংকংকে ৩৮ রানেই গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাবর আজমের দল। এর ফলে রেকর্ড বইয়ে তোলপাড় ফেলে সুপার ফোরে পৌঁছে গেছে দুবারের চ্যাম্পিয়নরা।

৮, ২, ০, ৬, ১, ৪, ৩, ৩, ০, ১, ০। না, কোনো ফোন নম্বরের ডিজিট ভেবে ভুল করবেন না। এ ছিল হংকংয়ের ১১ ব্যাটসম্যানের রানের সংখ্যা। ইনিংস সর্বোচ্চ ১০ রান এসেছে জনাব অতিরিক্তের ‘ব্যাট’ থেকে। হংকংয়ের ব্যাটসম্যানদের এমন নাজেহাল দশাই করে ছেড়েছে পাকিস্তান।

ভারতের বিপক্ষে শুরুতে ভুবনেশ্বর কুমারদের ভালোই সামলে ছিলেন হংকং ব্যাটাররা। কিন্তু পাকিস্তানের বোলারদের সামলাতে যেন হিমশিম খাচ্ছিলেন। পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েন তারা। মাত্র ৩১ রান তুলতেই যখন নেই তাদের ৫ টপ অর্ডার, তখন বড় চাপে পড়ে দলটি। সেই চাপ আর সামলে উঠতে পারেননি নিজাকাত খানরা। ম্যাচটি যেন তারা হারার আগেই হেরে যায়। পাকিস্তান জয় পায় ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে।

পাকিস্তানের বোলিং ইনিংসটা শুরু হয়েছিল ওয়াইডে চার চিয়ে। বলের খাতা খোলার আগেই হংকংয়ের রানের খাতায় তাই যোগ হয়ে যায় ৫ রান। প্রথম দুই ওভারে তারা সংগ্রহ করে নেয় ১৫ রান। দ্বিতীয় ওভারটাও নাসিম শুরু করেন ওয়াইড দিয়ে। তবে পরের বলেই নেন অধিনায়ক নিজাকাত খানের উইকেট। এ ওভারের শেষ বলেই দ্বিতীয় সাফল্য পান নাসিম। দলটির নির্ভরযোগ্য ব্যাটার বাবর হায়াতকে ফিরিয়ে দেন তিনি।

পরের ওভারে ইফতিখার এলে আঁটসাঁট বল দিলেও আসেনি কোনো উইকেট। তবে পঞ্চম ওভারে শাহনেওয়াজ দাহানি নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেই তৃতীয় আঘাত হানেন। পাওয়ার প্লেতে ২৫ রান তুলতেই নেই ৩ ব্যাটার।

ষষ্ঠ ওভারে এসেই শাদাব খান শিকার করেন আইজাজ খানকে। ফুল লেংথের বল কাট করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাইমিং হয়নি। ৬ বল টিকলেও ফিরতে হয় মাত্র ১ রান করেই।

এতেও যেন উইকেট ক্ষিদে মিটছিল না পাক বোলারদের। পরের ওভারে মোহাম্মদ নাওয়াজ এসে নাসিমের মতোই হানলেন জোড়া আঘাত। ফেরান কিঞ্চিত শাহ ও স্কট ম্যাকেঞ্চিকে। নাওয়াজের বলে সুইপ করতে গিয়েছিলেন কিঞ্চিত। কিন্তু এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন। প্রথমে আম্পায়র আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে পেতে হয় উইকেট। দুই বল পর একই ধরনের ডেলিভারি দেন নাওয়াজ। ম্যাকেঞ্চিও করতে যান সুইপ। কিন্তু বোল্ড আউট হয় ধরতে হয় ড্রেসিং রুমের পথ।

পরের প্রতিটা ওভারেই পাক বোলাররা হংকং ব্যাটারদের থেকে উইকেট ছিনিয়ে নিয়েছেন। তাই আর মাথা তুলে তারা দাঁড়াতেই পারেনি। অলআউট হতে হয়েছে মাত্র ৩৮ রানে। কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পারেননি। নিজাকাত খান সর্বোচ্চ ৮ রান সংগ্রহ করেন।

পাকিস্তানের হয়ে শাদাব খান মাত্র ৮ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ নাওয়াজ তিনটি ও নাসিম শাহ দুটি এবং শাহনেওয়াজ দাহানি একটি উইকেট শিকার করেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ।

ঠিকানা/এনআই