ঠিকানা অনলাইন : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একটি আবাসিক হলে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ৮ এপ্রিল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কীভাবে এবং কারা উদ্ধার করল এ বিষয়ে কারও সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ওই ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ জরুরি বিভাগের লাশঘরে আছে ৷ তবে মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।
শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রকিবা নবী বলেন, ‘হলে সিলিং ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। জানালার গ্রিলের সঙ্গে সে কিছু একটা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানতে পেরেছি। ওর স্বামীকে খবর দেওয়া হলে তিনি তাকে উদ্ধার করেন। ওরা কিছুদিন আগেই বিয়ে করেছে, অনেকেই জানেন না সেটা।’
আত্মহত্যাচেষ্টার কারণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বন্ধুবান্ধবরা জানিয়েছে অসুস্থতার কারণে শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা ভালো করে দিতে পারে নাই। দু-একটা পরীক্ষা দিতে পারে নাই। এসব নিয়ে সে ডিপ্রেশনে ছিল। কী করবে না করবে এসব নিয়ে সহপাঠীদের জানিয়েছিল। তবে ওই ছাত্রীকে হল থেকে কীভাবে উদ্ধার করা হলো, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল কি না, তাও জানা যায়নি।
প্রাধ্যক্ষ ড. রকিবা নবী আরও বলেন, ‘আমরা শুনেছি তার ক্লাসমেটরা দেখেছে, চিৎকার করেছে। পরে তার স্বামী উদ্ধার করেছে।’ তবে দরজা ভেতর থেকে খোলা ছিল নাকি বন্ধ ছিল তা জানা নেই বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানি না। জেনে জানাব।
ঠিকানা/এনআই