ঠিকানা রিপোর্ট: ছয় বছর বয়সী সুবর্ণ আইজ্যাক নিউইয়র্ক সিটি gifted & talented প্রোগ্রাম ছাত্র। ২০১৪ সালে, নিউ ইয়র্কের সিটি কলেজের President ডঃ লিসা কোইকো তাঁকে “আমাদের সময়ের আইনস্টাইন” শিরোনাম দিয়েছিলেন।২০১৫ সালে, তিনি পিএইচডি স্তরের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন সমস্যা সমাধানের জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছিল।
ইতিপূর্বে বাঙালি হিসাবে ড. মুহাম্মদ ইউনুস কেবল প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রিকগনিশন পেয়েছেন। বাংলদেশ প্রেসক্লাব ও টাইম টিভির যৌথ আয়োজনে তাকে নিউইয়র্ক সিটিতে গ্র্যান্ড রিসিপশন দেওয়া হয়েছে on January 13, 2017। পৃথিবীর মানুষ দেখেছে। চার বছরের সুবর্ণ বিশ্বজুড়ে পরিচিত একমাত্র mathematics কারণে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বর্তমান স্পীকার স্যার জন সাইমন বারকো সুবর্ণ আইজ্যাককে মেধার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ধন্যবাদ জানান।বিজ্ঞানী ডঃ লিসা কাইকো সুবর্ণকে “আমাদের সময়ের আইনস্টাইন” উপাধি দেওয়ার তাঁকেও ধন্যবাদ জানান। ব্রিটিশ সংসদের স্পিকার স্যার জন বার্কো লিখেছেন, “আমি সোবারো আইজাককে তার অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই, যেগুলি যেমন ওবামা এবং অন্যদের মধ্যে ড। তার আগে বড় খবর হলো, এই শিশুর কর্মকান্ডে মুগ্ধ হয়ে মে ২, ২০১৮ তে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ডঃ ডিল গিলপিন ফাউস্টের কাছ থেকে একটি স্বীকৃতি পেয়েছেন সুবর্ণ আইজ্যাক । অনেকেই এটি নোবেল পুরস্কারের সাথে তুলনা করে কারণ এটি প্রথমবারের মতো বিশ্বের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ছয় বছরের ছেলেকে স্বীকার করে।
সুবর্ণ যখন মাত্র দেড় বছর বয়সী তখনই রসায়নের পর্যায় সারণি তথা কেমিস্ট্রি পিরিয়ডিক টেবিল মুখস্থ করে ফেলেছে। তার বয়স যখন তিন বছর তখনই সে লেবুর সাহায্যে ব্যাটারি এক্সপেরিমেন্ট করে। সাড়ে তিন বছর বয়সে বিখ্যাত একটি কলেজের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ পায়। এরই মধ্যে তার সঙ্গে কথা বলেছে ভয়েস অব আমেরিকাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
চার বছর বয়সী শিশুর ছোটবেলা কোনটা। তবু বলা হচ্ছে তখন সে খুব ছোট ছিল। নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালের বেডে জ্বরে কাতরাচ্ছিল। তার বাবা রাশীদুল বারী বলেন, ‘আই লাভ ইউ মোর দ্যান এনিথিং ইন দ্য ইউনিভার্স।’ সুবর্ণ তার বাবাকে পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘ইউনিভার্স অর মাল্টিভার্স?’
এ কথা শুনে তার বাবা চমকে যান। তখনো তিনি জানতেন না সুবর্ণ তিন বছর বয়সে অঙ্ক, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে দক্ষতা দেখিয়ে সারা পৃথিবীকে নাড়িয়ে দেবে। বর্তমানে সুবর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হইচই ফেলে দিয়েছে। সুবর্ণ এখনো স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি। কিন্তু এরই মধ্যে জ্যামিতি, বীজগণিতসহ রসায়নের জটিল বিষয়ের সহজ সমাধান দিচ্ছে।
মাত্র দেড় বছর বয়সে রসায়নের পর্যায় সারণির গল্প শুনিয়েছেন তার বাবা রাশিদুল বারী। তিনি জানিয়েছেন, ওর মা ওকে অঙ্ক শেখাচ্ছিলেন। হঠাৎ সুবর্ণ বলল, ‘ইফ ওয়ান প্লাস ওয়ান ইকুয়াল টু টু, দ্যান টু প্লাস টু ইকুয়াল টু ফোর এবং এন+এন ইকুয়াল টু টুএন, তাই না?’ রাশীদুল বারী তখন পাশের রুমে তাঁর ছাত্রদের পরীক্ষার খাতা দেখছিলেন। ছেলের এমন প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে রাশীদুল বারী তাকে অ্যাডভান্সড ম্যাথ অ্যান্ড সায়েন্স শেখাতে শুরু করলেন। আর এভাবেই মাত্র দুই বছর বয়সে সে রসায়নের পিরিয়ডিক টেবিল মুখস্থ করে ফেলল। এ অবিশ্বাস্য কথাটি সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
এই বিস্ময়কর প্রতিভার কথা জানতে পারেন মেডগার এভার্স কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড পোজম্যান। তিনি সুবর্ণর মেধা যাচাই করতে চান। সুবর্ণ পর্যায় সারণির সব এলিমেন্ট বলে পোজম্যানকে অবাক করে দেয়। সেদিন তিনি এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে এক বছর পর অর্থাৎ গত বছরের ২৫ নভেম্বর আবার তাকে ডেকে পাঠালেন পোজম্যান।
এরপর ডাক পড়ে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগ থেকে। বাবা বারী তাকে নিয়ে যান ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অব আমেরিকা স্টুডিওতে। সেখানে সাবরিনা চোধুরী ডোনা তার ইন্টারভিউ নেন এবং বছরের সেরা কনিষ্ঠ ইন্টারভিউ হিসেবে তাঁরা এটা বাছাই করে ইংরেজি নববর্ষে পুনঃপ্রচার করেছেন।
সবর্ণর বাবা রাশেদুল বারীর বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য নিউ ইয়র্কে আসার পর ব্রংকসের লিমন কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটির বারুক কলেজে অঙ্কের অ্যাডজাংকট অধ্যাপক। একই সঙ্গে নিউভিশন চার্টার হাই স্কুল ফর অ্যাডভান্সড ম্যাথ অ্যান্ড সায়েন্সে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। জেরুজালেম পোস্টে তিনি নিয়মিত কলাম লিখছেন।
রাশেদুল বারী জানান সে এখন মিলটন ফিল স্কুলে প্রিকেতে পড়ে। কিন্তু তার বয়স কম হলেও সে বড়দের অংক কষে। তার বাবার অংক ভুল ধরে। ভাই ব্রুকলিন টেকে পড়ে তারও ভুল ধরে। এছাড়াও সে ইউটিউবসহ অন্যান্য অংকও ভুল ধরে।
তিনি জানান, তার ছেলের এই সাফ্যলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ভীষন খুশী।
সুবর্ণর মা রেমন বারী ব্রংকস কমিউনিটি কলেজ থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। সুবর্ণর একমাত্র বড় ভাই রিফাত আলবার্ট বারীর বয়স ১২ বছর। সেও অসাধারণ মেধার অধিকারী। সপ্তম গ্রেডে পড়ছে এবং সাতটি ভাষায় কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে অভ্যস্ত। সে হাই স্কুলে না গিয়েই বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে চায়। এ জন্য সে এরই মধ্যে তিনবার এসএটি প্রদান করেছে। পৃথিবীর বিখ্যাত ‘অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর উৎ. খড়ঁরংব জরপযধৎফংড়হ শিশু বিজ্ঞানী সুবর্ণ আইজ্যাক বারীর ৫ম জন্মদিনে গিফট পাঠিয়েছেন। On April 24, 2018 Bronx College President Thomas Thomas Isekenegbe took his interview. সুবর্ণর জন্ম ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল। বর্তমানে সোবহানো আইজাক দুটি প্রকল্পে কাজ করছে – নজরুল তৈরি করছে, একটি হুমায়ূন যুক্ত রোবট তৈরি করছে, এবং দ্য প্রেমের শিরোনাম একটি বই লিখেছে।