হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি

ঠিকানা রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক বিশেষ সভা গত ২১ অক্টোবর নিউইয়র্ক সিটির একটি রেস্টুরেন্টের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি নবেন্দু দত্তের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্যের পরিচালনায় এ সভায় ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার শাহবাগ ও চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা চত্বরে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশনরত সংখ্যালঘু নর-নারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করা ছাড়াও গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রবাসী সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দের সভা, এবারকার পূজায় হিন্দু সমাজের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের প্রশংসনীয় ভূমিকা, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পার্লামেন্টে কংগ্রেসম্যান শ্যাবো ও রো খান্না উত্থাপিত বেঙ্গলি জেনোসাইড বিল প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের তিন সভাপতি নবেন্দু দত্ত, ড. টমাস দুলু রায় ও রণবীর বডুয়া ছাড়া সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন শিতাংশু গুহ, রূপকুমার ভৌমিক, সুশীল সাহা, প্রদীপ মালাকার, ভজন সরকার, রিনা সাহা, আশীষ ভৌমিক, দিলীপ নাথ, তপন সেন, পার্থ তালুকদার, বিষ্ণু গোপ, বিধান রায়, নারায়ণ বর্মণ, মিলন রায় ও দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য।
সভার পক্ষ থেকে এবার সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজকে নির্বিঘ্নে পূজা এবং শারদোৎসব উদযাপনের নিশ্চয়তা বিধান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে, অর্থাৎ সংখ্যালঘু নির্যাতন ঠেকাতে সরকার তৎপর হলে যে সেটা করা সম্ভব, তার প্রমাণ এবারকার পূজা।
তারা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ২০১৩ সালে রামুর বীভৎসতা থেকে শুরু করে ২০২১ সালের পূজা পর্যন্ত কিছুদিন পর পর ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী, মৌলবাদী ও উগ্রপন্থী চক্র দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে বর্বর অত্যাচার করে এসেছে, তার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়- তিনি যেন সংখ্যালঘুদের এই জীবন-মরণ সমস্যার একটি টেকসই সমাধানকল্পে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক ১৯৭২ সালের সংবিধানকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা না করে ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা এবং সংখ্যালঘু নির্যাতকদের বিচার না করার ফলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আজ অস্তিত্ব রক্ষার সঙ্কটে পড়ে রাস্তায় অনশণ করতে বাধ্য হচ্ছে। এটা কোনভাবেই কারো কাম্য হতে পারে না।