ঠিকানা অনলাইন : যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রায় ১০ হাজার ব্যালটের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোটের জন্য আবেদন করেছিলেন পেনসিলভানিয়ার অসংখ্য ভোটার।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পেনসিলভানিয়ার বাটলার কাউন্টির অসংখ্য ভোটার অভিযোগ করেছেন, তাদের ব্যালটের কোনো হদিস নেই। রাজ্যের নির্বাচন ব্যুরোর পরিচালক অ্যারন শিসলে ২৯ অক্টোবর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছু জানেন না।
রাজ্য নির্বাচন ব্যুরোর পরিচালক অ্যারন শিসলে বলেন, ব্যালটের জন্য আবেদন করেছেন, গত কয়েক দিনে এমন প্রায় ১০ হাজার ভোটারের ফোন তারা পেয়েছেন। কেউ কেউ একাধিকবার ফোন করেও অভিযোগ করেছেন, তারা এখনো তাদের আবেদন করা ব্যালট হাতে পাননি। অথচ নির্বাচনের সময় একেবারে ঘনিয়ে এসেছে।
অ্যারন শিসলে আরো বলেন, ডাক বিভাগ ও পিটসবার্গ ব্যালটগুলো ভোটারের কাছে পাঠাতে কাজ করেছে। ওই দুই জায়গার কোথাও কোনো ঝামেলা হয়েছে। তবে কোথায় কী ঘটেছে, এখনই বলা যাচ্ছে না। বাটলার কাউন্টিতে প্রায় দেড় লাখ নিবন্ধিত ভোটার আছেন।
বাটলার কাউন্টির কর্মকর্তারা ২৯ অক্টোবর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, তারা এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ব্যালট পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ফেরত এসেছে প্রায় ২১ হাজার ৩০০ ব্যালট। তবে এ পর্যন্ত কতজন ভোটার ব্যালট গ্রহণ করেছেন এবং ফেরত পাঠাননি তার হিসাব এই মুহূর্তে নেই।
মার্কিন ডাক বিভাগের মুখপাত্র মার্টি জনসন বলেছেন, ভোটাররা ব্যালট পাননি—এ ধরনের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। বাটলার কাউন্টিতে চিঠি গোছানো ও সরবরাহ করার ক্ষেত্রে কোনো বিলম্ব হয়নি। সঠিক ঠিকানায় ডাকযোগে ব্যালট পাঠাতে বোর্ড অব ইলেকশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
আমেরিকার পোস্টাল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন পিটসবার্গ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট চাক বুগার বলেছেন, পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে বাটলার কাউন্টিতে পাঠানো কোনো ব্যালট হারানোর তথ্য আমাদের কাছে নেই। আর কাউন্টির ইলেকশন কমিটির কাছ থেকে পাওয়া কোনো ব্যালটের স্তূপও আমাদের কাছে আর পড়ে নেই।
ঠিকানা/এনআই
