১ কোটি ১৬ লাখ কর্মী বিদেশ গেছেন: কর্মসংস্থানমন্ত্রী

ঢাকা : প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৬৫টি দেশে বাংলাদেশের ১ কোটি ১৬ লাখ ৬ হাজার ১৭১ কর্মী কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশ গেছেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে গত ৯ এপ্রিল সরকারদলীয় সদস্য মো. আয়েন উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিদ্যমান শ্রম বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় শ্রম বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে ৫২টি দেশে চাহিদা নিরূপণের জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ওই গবেষণা প্রতিবেদন পর্যালোচনাপূর্বক এসব দেশে কর্মী পাঠানোর নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। সরকারদলীয় সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৯ বছরে ৫১ লাখ ৯৮ হাজার ৯১৪ কর্মী বিদেশ গেছেন, যা এ দেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যকরী ও দূরদর্শী পদক্ষেপের ফলে বিদেশে কর্মী গমনের হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৬ সালে বিদেশে কর্মী পাঠানোর সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৩১ জন। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জনে উন্নীত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিগত জোট সরকারের আমলে যেখানে বিশ্বের মাত্র ৯৭টি দেশে কর্মী পাঠানো হতো, সেখানে বর্তমান সরকার নতুন আরও ৬৮টি দেশে কর্মী পাঠানোসহ বর্তমানে এ সংখ্যা ১৬৫টি দেশে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে জি টু জি প্লাস ব্যবস্থায় মালয়েশিয়ায় ৭৫ হাজার ২৪০ কর্মী গমন করেছে। মন্ত্রী বলেন, বিএমইটির অধীনে ২০০৯ সালে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি এবং ৩৭টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ মোট ৩৮টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৪৭ হাজার ১৪০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ৭০টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মোট ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৭২৭ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের তুলনায় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩২টি এবং প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৮ গুণ।